একটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিভে যাচ্ছে শুধু একটি জীবন নয়, সঙ্গে অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে একেকটি পরিবারও। সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের যা করতে হবেÑ
১. যেসব রাস্তায় ধারণক্ষমতার অধিক যানবাহন চলাচল করে তা প্রশস্ত করতে হবে। ২. বিপজ্জনক বাঁক/দুর্ঘটনাপ্রবণ বাঁকগুলো চিহ্নিত করে প্রতিটি বাঁকে প্রয়োজনীয় দূরত্বের ডিভাইডার স্থাপন করতে হবে। ৩. রাস্তায় গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (স্পিড বাম্প/হাম্প/কুশন স্থাপন) রাখতে হবে। ৪. গাড়িতে স্পিড লিমিটিং ডিভাস স্থাপন করতে হবে। ৫. প্রতি ৪০/৫০ কিলোমিটার পরপর টোলঘরের মতো পুলিশ নিয়ন্ত্রণ বক্স অথবা চালকদের বিশ্রামাগার নির্মাণ করা। ৬. প্রতি ২৫ কিমি. পরপর প্রয়োজনীয় স্থানে ছোট আকারের স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করা। ৭. প্রতি ১০ কিমি. পরপর সতর্কীকরণ ফ্লাসড বেকন লাইট স্থাপন করা। ৮. প্রতি ২ কিলোমিটার পরপর লোহার রেলিং দেওয়া, নিচু স্পিড ব্রেকার নির্মাণ এবং পর্যাপ্ত সাইনপোস্ট স্থাপন করা। ৯. রাস্তা পারাপারের জন্য প্রয়োজনীয় স্থানে জেব্রাক্রসিং তৈরি করা। ১০. স্পিডব্রেকার, মাইলস্টোন, জেব্রাক্রসিং এবং সব সাইনপোস্ট রিফ্লেক্টিং পেইন্ট দিয়ে লেখা। ১১. নছিমন, করিমন, ভটভটি, হিউম্যান হলার, সাইকেল, রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা ইত্যাদির জন্য আলাদা লেন তৈরি। ১২. বিআরটিসি ও বিআরটিএ কর্তৃক সঠিক ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা এবং ভুয়া লাইসেন্স বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ১৩. গাড়ির ফিটনেস যথাযথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দেওয়া। ১৪. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর চালকদের ট্রাফিক আইন মানতে বাধ্য করা ও স্থায়ী পুলিশ চেকপোস্ট করে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করা। ১৫. হাইওয়ে পুলিশের টহল কার্যক্রমকে গতিশীল করা। মোটরসাইকেলকে বিপজ্জনক বাহন হিসেবে ঘোষণা করে তাদের অগ্রাধিকার প্রদান করা। ১৬. মহাসড়কে স্পিড রাডার গান ব্যবহার করা এবং ওভার স্পিড গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ১৭. চালকদের বিরতিহীনভাবে গাড়ি চালাতে না দেওয়া, তাদের বিশ্রাম নিশ্চিত করা। ভুয়া লাইসেন্সধারীকে গাড়ি চালাতে না দেওয়া। ১৮. মালিকদের উচিত ড্রাইভারদের বিশ্রামের সুযোগ দেওয়া।
এসব নিয়ম মানলেই হয়তো বেঁচে যাবে অনেক সম্ভাবনাময় জীবন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
আনোয়ারুল হক নিজামী
সম্পাদক, ত্রৈমাসিক ছড়ার আসর[email protected]