রংপুরে প্রথমবারের মতো কৃষকের কাছ থেকে অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করছে খাদ্য বিভাগ। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৪০ শতাংশ ধান সংগ্রহ হয়েছে। তবে খাদ্য বিভাগের দাবি, আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় ধান সংগ্রহে কিছুটা দেরি হচ্ছে। ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে প্রথমবারের মতো অ্যাপের মাধ্যমে আমন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। মূলত অনিয়ম এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাতেই পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ১৬টি উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে।
‘কৃষকের অ্যাপ’ নামের এ পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে সদর উপজেলার কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করছে খাদ্য বিভাগ। শুরুর দিকে ধান সংগ্রহে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষক কিছুটা শঙ্কিত থাকলেও সুফল পাওয়ায় বেশ খুশি কৃষক। সদর উপজেলার পাগলাপীর গঞ্জিপুর গ্রামের তারাজুল ইসলাম জানান, অ্যাপের মাধ্যমে খাদ্য বিভাগ ধান নেওয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমেছে। তবে দায়িত্ববান কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা ও অবহেলার কারণে ধান বিক্রির টাকা পেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের পালিচড়াহাট এলাকার কৃষক মনতাজ আলী জানান, অ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রি করতে আগের মতো কোনো হয়রানি নেই। দালালের খপ্পরে পড়তে হয়নি। অনেক সময় ধান দিয়ে টেনশনে থাকতে হতো। রংপুরে অ্যাপে সংগ্রহ করা হচ্ছে কৃষকের ধান সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ কৃষক। একই সঙ্গে তাদের দাবি, ধান বিক্রির টাকা পেতে যাতে বিড়ম্বনা পোহাতে না হয়, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এদিকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহের সময়সীমা ছিল। প্রথম ধাপের নির্ধারিত এ সময় ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ। নতুন করে আরও সাত দিন ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানান সদর উপজেলার খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আরিফ হোসেন। তিনি জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে ২ হাজার ৬৯৬ টন আমন ধান। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ধান সংগ্রহে কিছুটা দেরি হচ্ছে। এ কারণে দ্বিতীয় ধাপে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।