রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় পাঁচজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- মুগদায় রিনাফুল পারভীন (২৭), পল্টনে মাজেদা বেগম (৫৫), বনানীতে জান্নাতুল ফেরদৌসী (১২), সবুজবাগে আবদুল্লাহ (১১ মাস) ও গেন্ডারিয়ায় শামসুল আরেফীন (২৪)। পুলিশ তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
মুগদা থানার এসআই ফয়সাল মুন্সী জানান, রোববার ভোরে উত্তর মান্ডা কবিরাজ বাড়ির ৭০ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে রিনাফুলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বামী-স্ত্রীর মনমালিন্যের কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তার বাবার নাম মো. ইউনুস মিয়া। বাড়ি বগুড়ার আদমদিঘিতে। পল্টন থানার এসআই মো. শাহিন মিয়া জানান, রোববার সকালে পুরানা পল্টন লাইনের ১০/৩ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে গৃহকর্মী সাজেদার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে মাজেদার মাঝেমধ্যে মানসিক সমস্যা হতো, আবোলতাবোল কথা বলত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তার বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দায়।
বনানী থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম জানান, শনিবার দুপুরে কড়াইল কুমিল্লা পট্টির একটি বাসা থেকে জান্নাতুলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তার বাবার নাম মুর্শিদ মিয়া। বাড়ি কুমিল্লার হোমনায়। জানা গেছে, সকালে জান্নাতুলের বাবা-মা কাজে চলে যান। দুপুরে বাসায় ফিরে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।
শিশু আবদুল্লাহর চাচা সাজেদুল ইসলাম জানান, রোববার সকালে সবুজবাগের দক্ষিণ মাদারটেকের একটি বাসায় পানিতে ডুবে শিশু আবদুল্লাহ মারা যায়। তার বাবার নাম ওবায়দুল ইসলাম। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছোট। সকালে আবদুল্লাহকে বাসার ভেতরে খেলতে দিয়ে কাজ করছিল তার মা। এই ফাঁকে সে হামাগুঁড়ি দিয়ে বাথরুমে ঢুকে যায়। সেখানে পানি ভরা বালতিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়। এদিকে, মৃত শামসুলের চাচা আমিন জানান, রোববার সকালে গেন্ডারিয়া থানার নারিন্দার মনির হোসেন লেনের নিজ বাড়িতে অতিরিক্ত মদ্যপানে শামসুল মারা যান। সে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতেন। গেন্ডারিয়া থানার এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে শামসুল আরেফীনের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।