পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদ। মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৫টায় রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী হেলিকপ্টার কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠে অবতরণ করেছে। তিনি কুয়াকাটা সি-বিচ পরিদর্শন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এদিকে রাষ্ট্রপতি আজ বিকালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। এ উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে এ বিদ্যাপীঠকে।
কুয়াকাটার স্থানীয় সংবাদকর্মী এবং আয়োজকদের তথ্যমতে, রাষ্ট্রপতির আগমনের আগে থেকেই গোটা কুয়াকাটা নিরাপত্তার চাঁদরে ঘিরে রাখা হয়। সেখানে এসএসএফসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজিরবিহীন নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়। মঙ্গলবার বিকালে হেলিকপ্টারে নেমেই রাষ্ট্রপতি সরাসরি কুয়াকাটা পর্যটন মোটেল ইয়ুথ ইন এ পৌঁছান। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। শেষ বিকালে রাষ্ট্রপতি কুয়াকাটা সি-বিচে সূর্যাস্তের দৃশ্য অবলোকন করেন। এ সময় গোটা সাগর সৈকতে এসএসএফ’র কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনি ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন বলে জানিয়েছেন ওই কলেজের প্রভাষক শহিদুল ইসলাম শাহিন।
এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বিদ্যাপীঠ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। বিকালে এ সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি। শিক্ষা জীবনের সর্বোচ্চ প্রাপ্তির এ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সাবেক শিক্ষার্থীরা। সমাবর্তন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ।
জানা গেছে, সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সেজেছে অপরূপ সাজে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোকেও সাজানো হয়েছে। আঁকা হয়েছে নানা রকমের আলপনা। সমাবর্তনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রায় ৪ হাজার আসনবিশিষ্ট প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। এবারের সমাবর্তনে প্রায় ৩ হাজার গ্র্যাজুয়েট অংশ নিচ্ছেন। যার মধ্যে স্নাতক ১ হাজার ৯৬৮ জন, স্নাতকোত্তর ৯৫১ জন ও পিএইচডি ৯ জন অংশগ্রহণ করবেন।