আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৫-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

সাবরেজিস্ট্রারের অভাবে দুর্ভোগে মেহেরপুরবাসী

মেহেরপুর প্রতিনিধি
| দেশ

সাব-রেজিস্ট্রারের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মেহেরপুর জেলাবাসী। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জমি কেনাবেচনা ও জরুরি কাজে দলিল উত্তোলন করতে আসা লোকজন। অপরদিকে বেকার সময় পার করছেন দলিল লেখক ও তাদের সহকারীরা মিলে দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। গাংনী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাংনী উপজেলায় প্রতি মাসে দেড় থেকে দুই হাজার দলিল রেজিস্ট্রি হয়ে থাকে। সর্বশেষ সাব-রেজিস্ট্রার ২৯ ডিসেম্বর বদলি অবস্থায় ৯ হাজার ৯৭৪টি দলিল ভলিউম রেজিস্ট্রির প্রক্রিয়াধীন ছিল। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ভলিউম হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার দলিল হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন দলিল মালিকরা।  

জমি ক্রেতা পূর্ব মালসাদহ গ্রামের মুক্তার হোসেন বলেন, আমি এক প্রবাসীর কাছ থেকে দেড় বিঘা জমি কিনে রেজিস্ট্রির দিনক্ষণ ঠিক করি। এখন সেই প্রবাসী আবারও বিদেশ চলে যাচ্ছেন। এখন জমি রেজিস্ট্রি না হলে আমার জমির মালিকানা অনিশ্চিত। গাংনী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, রেজিস্ট্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আমরা ৭০ জন মহরার ও ১৫০ জন সহকারী বেকার সময় কাটাচ্ছি। 
গাংনী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের টিসি মহরার আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রতিদিনই দলিল নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন দলিল মালিকরা। সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় আমাদের সব কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। এদিকে মুজিবনগর ও সদর উপজেলা অফিস সামলাচ্ছেন সাব-রেজিস্ট্রার শফিকুল ইসলাম। সদর উপজেলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রতি বুধবার তিনি মুজিবনগরে জমি রেজিস্ট্রি করেন। এতে সদর ও মুজিবনগর উপজেলার মানুষও ভোগান্তিতে রয়েছেন। 
এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গনি বলেন, সরকারের কাছে জানানো হচ্ছে। আশা করছি আমাদের এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে দ্রুত শূন্য পদে সাব-রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিবেন।