আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৫-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা

মো. মাসুদুর রহমান
| প্রকৃতি ও পরিবেশ

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে গেল বছর ডিসেম্বরে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর তা গোটা চীনে ছড়িয়ে পড়ে। চীনে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে কয়েক হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। প্রায় ২০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শুধু চীনে নয়, এ ভাইরাস বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও। কারণ চীনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। এছাড়া অন্য যেসব দেশে রোগটি সংক্রমিত হয়েছে, সেসব দেশের সঙ্গেও বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বর্তমান সময়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এ ভাইরাস সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সতর্কতা বাড়াতে কিছু পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়েছেন, যেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নিম্নরূপÑ
১. সাবান ও পানি দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে। 
২. চোখ, নাক ও মুখ বারবার স্পর্শ করা যাবে না। 
৩. যত বেশি সম্ভব কণ্ঠনালি ভিজিয়ে রাখতে হবে। বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। কণ্ঠনালি যদি শুষ্ক থাকে মাত্র ১০ মিনিটেই আক্রমণ মারাত্মক হতে পারে।  
৪. সর্দি-কাশি হলে নাক ও মুখ ঢেকে রাখতে হবে, টিস্যু ব্যবহারের পর দ্রুত তা ফেলে হাত ধুতে হবে। 
৫. কারো জ্বর বা ঠান্ডা হলে তার খুব কাছে যাওয়া যাবে না। 
৬. জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, ভ্রমণ করা যাবে না। 
৭. মাংস ও ডিম সম্পূর্ণ সিদ্ধ করে রান্না করতে হবে।  
৮. অসুস্থ পশুপাখি খাওয়া যাবে না। 
৯. কর্মস্থল ও কর্মস্থলে ব্যবহার্য জিনিস দিনে অন্তত একবার পরিষ্কার করতে হবে। 
১০. বাস, ট্রেন ও যে কোনো গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। 
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকেও একই ধরনের নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।    
এ ভাইরাস থেকে প্রতিকারের জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা যেসব পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়েছেন বা দিচ্ছেন, ইসলামে আজ থেকে সাড়ে ১৪০০ বছর আগেই এসব বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
হাঁচি-কাশি দেওয়ার সঠিক বিধান ও নির্দেশনা : হাঁচি আসে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নেয়ামত হয়ে। মানুষ যখন হাঁচি দেয় তখন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অনেক রোগ ও সংক্রামক ব্যাধি হাঁচির সঙ্গে বাষ্পাকারে বেরিয়ে যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। যে কারণে হাঁচির পর ক্ষতি থেকে বাঁচার কারণে আল্লাহর প্রশংসা বাক্য ‘আলহামদু লিল্লাহ’ বলে শুকরিয়া আদায় করার শিক্ষা হাদিসে দেওয়া হয়েছে। যেমন হাদিসে নবীজি (সা.) বলেছেন, যখন তোমাদের কোনো  লোক হাঁচি দেয়, তখন সে যেন ‘আলহামদু লিল্লাহ’ বলে। আর শ্রোতা যেন এর জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলে। আর যখন সে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলবে, তখন হাঁচিদাতা তাকে বলবে, ‘ইয়াহ্দিকুমুল্লাহ্ ওয়ায়ুস্লিহু বালাকুম’। (বোখারি)। 
তবে হাঁচিদাতার জন্য এটি উপকারী হলেও একদম কাছের ব্যক্তির জন্য তা ক্ষতিকর হলেও হতে পারে। তাই হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় যাতে স্বাভাবিক আদব ঠিক থাকে তথা হাঁচিতে যাতে অন্য মানুষ অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে না পড়ে বা অন্যের প্রতি জীবাণু না ছড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যে শিক্ষা স্বয়ং নবীজি (সা.) দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন হাঁচি দিতেন, তখন তিনি তার মুখের ওপর হাত বা কাপড় রাখতেন এবং এর দ্বারা হাঁচির আওয়াজ নিম্নগামী করতেন।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ)। 
সুতরাং ‘হাঁচি দেওয়ার সময় আদব হলো হাত বা কাপড় দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখবে, যাতে শব্দ কম হয় এবং মুখ ও নাকের ময়লা কারও গায়ে ছুটে গিয়ে না লাগে।’ (আহকামে জিন্দেগি)। 
রদ্দুল মুহতার গ্রন্থেও বলা হয়েছে, ‘হাচি এলে মাথা নিচু করুন, মুখ ঢেকে রাখুন এবং নিম্নস্বরে বের করুন, উচ্চস্বরে হাঁচি দেওয়া বোকামি।’ (রদ্দুল মুহতার, খণ্ড-৯)। 
হাই তোলায় করণীয় : হাই তোলাকে মহান আল্লাহ অপছন্দ করেন। এটি অলসতার আলামত। হাই এলে সাধারণত মুখ ফাঁকা হয়ে যায়। যাতে করে ধুলা-বালি, ময়লা বা যে কোনো জীবাণু মুখ দিয়ে ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই তো হাই তোলার সঠিক নিয়ম বর্ণনা করতে গিয়ে রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যখন তোমাদের কারও হাই আসে, তখন সে যেন নিজের হাত দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখে। নতুবা শয়তান তার মুখের ভেতরে চলে যায়।’ (মুসলিম)। 
যত্রতত্র থুতু না ফেলার নির্দেশনা : যেখানে সেখানে থুতু ফেলা যাবে না। কারণ এতেও জীবাণু ছড়ায়। এ ব্যাপারে হাদিসে নির্দেশনা এসেছে নবী (সা.) বলেছেন- মোমিন যখন সালাতে থাকে, তখন সে তার প্রতিপালকের সঙ্গে নিভৃতে কথা বলে। কাজেই সে যেন তার সামনে, ডানে থুতু না ফেলে, বরং তার বাম দিকে অথবা পায়ের নিচে ফেলে। (বোখারি)। 
অন্য হাদিসে এসেছে হারিস ইবনে আমর আস-সাহ্মি (রা.) বলেন, ‘আমি নবীর (সা.) কাছে এসে উপস্থিত হলাম। তখন তিনি মিনা অথবা আরাফাতে ছিলেন। লোকজন তার চারপাশে ঘোরাফেরা করছিল। বেদুইনরা এসে যখন তার চেহারা দেখত তখন বলত, এত বরকতময় চেহারা। আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তিনি বলেনÑ হে আল্লাহ! আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন। আমি আবার ঘুরে এসে বললাম, আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তিনি বলেন, হে আল্লাহ! আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন। তার মুখে থুতু এলে তিনি তা নিজ হাতে নিয়ে তার জুতায় মুছে ফেলেন এ আশঙ্কায় যে, তা লোকজনের গায়ে না পড়ে।’ (আবু দাউদ, নাসাঈ, হাকিম)। 
একইভাবে কফ ও নাকের ময়লাও সতর্কতার সঙ্গে ফেলতে হবে। কারণ এ থেকেও রোগবালাই ছড়ায়। 
অন্যসব মানবীয় আদব রক্ষার নির্দেশনা : চলাফেরার পথে পারস্পরিক সালাম বিনিময় করা, মোসাহাফা বা হ্যান্ডশেক করা একটি স্বাভাবিক রীতি ও ছওয়াবের কাজ তো বটেই। যেমন হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখনই দুজন মুসলিম ব্যক্তি পরস্পর সাক্ষাৎ হওয়ার পর মুসাফাহা করে, তারা পরস্পর থেকে আলাদা হওয়ার আগেই তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ)। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, যাতে হাত সবসময় পরিষ্কার থাকে বা হাতে কোনোরূপ ময়লা বা জীবাণু না থাকে, যার দরুন আরেকজন রোগাক্রান্ত হয়। এভাবে ইসলামের সব আদব রক্ষা করে চলাটা অত্যন্ত জরুরি। কারণ আদব রক্ষা করা অত্যন্ত মূল্যবান কাজ। হাকেম (রহ.) তার ‘আত-তারিখ’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন হজরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) বলেন, ‘তুমি আদব অন্বেষণ কর। কারণ, আদব হলো বুদ্ধির পরিপূরক, ব্যক্তিত্বের দলিল, নিঃসঙ্গতায় ঘনিষ্ঠ বন্ধু, প্রবাসজীবনের সঙ্গী এবং অভাবের সময়ে সম্পদ।’
পোশাক-পরিচ্ছদ পরিষ্কারের নির্দেশনা : মানুষ সবসময়ই নিজের পোশাক-পরিচ্ছদ পরিষ্কার রাখবে এটাই ইসলামের নির্দেশনা। যেমন পবিত্র কোরআনে এসেছে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, ‘(হে নবী!) তোমার পরিচ্ছদ পবিত্র রাখ!’ (সূরা আল-মুদ্দাছিছর : ৪)। অন্য আয়াতে আল্লাহপাক আরও বলেন, ‘হে বনি আদম! তোমরা প্রত্যেক নামাজের সময় সুন্দর-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করবে। ’ (সূরা আল-আরাফ : ৩১)। 
হাদিসে এসেছে রাসুল (সা.) একজন ময়লা বস্ত্র পরিহিত লোককে উদ্দেশ করে বললেন, ‘এ ব্যক্তি কি এমন কিছু জোগাড় করতে পারেনি যা দিয়ে সে তার কাপড় পরিষ্কার করবে।’ (মোসনাদে আহমাদ, বায়হাকি)। 
পোশাক-পরিচ্ছদ পরিষ্কার না থাকলে শরীর নানা রোগ-জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 
আবাসস্থল, কর্মস্থল ও কর্মস্থলে ব্যবহার্য জিনিসপত্র পরিষ্কারের নির্দেশনা : ইসলামে ঘর-বাড়ি, বাড়ির মেঝে, ওঠান, বিছানা-বালিশ, কর্মস্থল ও কর্মস্থলে ব্যবহার্য জিনিসপত্র পরিষ্কারের নির্দেশনা রয়েছে। স্বয়ং মহানবী (সা.) ছিলেন গোছানো। তিনি ঘরের সব কিছু পরিপাটি করে রাখতেন। শোয়ার আগে রাসুলুল্লাহ (সা.) বিছানা ঝাড় দিতেন। জুতা, কাপড় ইত্যাদি পরিধানের আগে তিনি ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার করে নিতেন। একইভাবে তিনি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার নির্দেশনা জারি করেছেন। যেমন একটি হাদিসে তার (সা.) নির্দেশনা হলো ‘তোমরা তোমাদের (ঘরের) উঠোনগুলো পরিচ্ছন্ন রাখবে।’ (তিরমিজি)। 
অসিদ্ধ ও ক্ষতিকর গোশত খাওয়া প্রসঙ্গে ইসলাম : ইসলামে হালাল প্রাণীগুলোর মাংস পর্যাপ্ত সিদ্ধসহ যথার্থ প্রক্রিয়ায় আহার উপযোগীকরত ভক্ষণ করার নির্দেশনা রয়েছে। রাসুল (সা.) নিজেও এমন স্বাস্থ্যসম্মত গোশত ভক্ষণ করেছেন। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহর (সা.) জন্য গোশত আনা হলো এবং তাকে বাহুর গোশত (রান্না করা) পরিবেশন করা হলো। তিনি বাহুর গোশতই বেশি পছন্দ করতেন। তিনি তা দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে ছিঁড়ে চিবিয়ে খেলেন। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)। অন্য হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) কাছে বাহুর গোশত অন্যসব অংশের গোশতের চেয়ে বেশি প্রিয় ছিল তা নয়, বরং প্রকৃত ব্যাপার এ যে, অনেক দিন পরপর তিনি গোশত খাওয়ার সুযোগ পেতেন। এজন্যই তাকে বাহুর গোশত পরিবেশন করা হতো। কেননা বাহুর গোশত তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয় এবং গলে যায়।’ (মুখতাসার শামায়িল)। সুতরাং ইসলাম ডিম, গোশতসহ যে কোনো খাদ্যদ্রব্য পর্যাপ্ত সিদ্ধ বা স্বাস্থ্যকরকরত ভক্ষণ করতে নির্দেশনা দিয়ে থাকে। 
আবার যেসব প্রাণীর মাংস মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বা মানবদেহে জীবাণু বহন করে, ইসলাম মানবকল্যাণে সেসব প্রাণীর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করেছে। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনি অপবিত্র বস্তু হারাম করেন।’ (সূরা আরাফ : ১৫৭)।  আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে বলেন, ‘তোমাদের জন্য মৃতপ্রাণী, রক্ত ও শূকরের গোশত হারাম করা হয়েছে।’ (সূরা মায়েদা : ৩)। আলোচ্য আয়াতে বলা হয়েছে শূকুরের মাংস খাওয়া হারাম। আর বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত ও প্রমাণিত, শূকুরের মাংস মানবদেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর। শূকরের মাংস আহার করা হলে দেহে এমন এক ধরনের পোকার সৃষ্টি হয়, যা স্বাস্থ্যকে কুরে কুরে খায়। বিজ্ঞানের সর্বশেষ পরীক্ষণে জানা গেছে, শূকরের মাংসে এসব জীবাণু জন্মাতে পারে : Cysticerus teunicallis, Cysticereus cellulosae Spargamune mousoni, Echinococeus podymorphus, paragonimus weater manall. অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, ‘শূকরের মাংস সবসময় আহার করলে মানব চরিত্রে নির্লজ্জতা জাগে, আত্মমর্যাদা বোধ শেষ হয়ে যায়।’ (ইসলামে হালাল-হারামের বিধান, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম অনূদিত, পৃ. ৬৮)। 
এভাবে কুকুর, শিয়াল, বাঘ, সিংহ, বিড়াল, কুমির, কচ্ছপ, সজারু ও বানর ইত্যাদি। আবার পাখির মধ্যে যেমন ‘ঈগল, বাজ, শ্যেন, প্যাঁচা, বাদুড় ইত্যাদির গোশত খাওয়া নিষিদ্ধের কারণ একটাই এগুলো মানবদেহে জীবাণু বহন করে। সর্বোপরি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। 
সতর্কতার সঙ্গে রোগীর সেবা করা : যে কোনো রোগে আক্রান্ত রোগীর সেবা করার গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক। কিন্তু রোগীর সংস্পর্শে নিজে যাতে আক্রান্ত না হন, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। এজন্য রোগীকে দেখতে যাওয়ার আগে, সেবার সময় ও দেখে আসার পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতে হবে বা পরিষ্কার থাকতে হবে। যেমন রোগী দেখতে যাওয়ার আগে ওজু করার নির্দেশনাও হাদিসে পাওয়া যায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে লোক ভালো করে অজু করে এবং একমাত্র ছওয়াবের উদ্দেশ্যে কোনো অসুস্থ মুসলমান ভাইকে দেখতে যায়, তাকে দোজখ থেকে ষাট বছরের রাস্তার সমপরিমাণ দূরে রাখা হবে।’ (আবু দাউদ)। শুধু তাই নয়, হাদিসে এসেছে সার্বিক বিবেচনায় ‘রোগী দেখার উত্তম পন্থা হলো রোগীর কাছ থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে আসা।’ (বায়হাকি)। 
পরিশেষে বলি, আসুন জীবনের সর্বক্ষণ সব জায়গায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করি। সচেতন ও সতর্ক হই। আল্লাহর রহমতে অনেক রোগবালাই থেকে নিরাপদ থেকে যাবে ইনশাআল্লাহ।