আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৫-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

ব্যাক টু ব্যাক এলসিসহ অন্য সুবিধা প্রদানের আহ্বান

সালমান এফ রহমানের সঙ্গে ডিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
| অর্থ-বাণিজ্য

সম্প্রতি প্রকাশিত ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আট ধাপ উন্নয়ন হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামীতে বাংলাদেশের শিল্প ও বিনিয়োগ পরিবেশ আরও উন্নত হবে। দেশের বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ উন্নয়নে দ্রুততম সময়ে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস চালুকরণ, বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট নীতিমালার প্রয়োজনীয় সংশোধন ও দ্রুততর কার্যকর করার প্রস্তাব করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ। মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতির নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপির সঙ্গে বিডার কার্যালয়ে সাক্ষাতে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি বলেন, ব্যবসা পরিচালনা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নে সরকার বেশ কিছু কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। ব্যবসা পরিচালনার সূচকে উন্নতি করতে হলে শুধু সংস্কার কার্যক্রম চালালেই হবে না বরং এর সুবিধা ব্যবসায়ীদের  দোরগোড়ায় পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে কর্পোরেট করের হার কমানো উচিত। উপদেষ্টা দেশের অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে কৃষি, চামড়া, তথ্য-প্রযুক্তিসহ অন্য সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে তৈরি পোশাক খাতে প্রদত্ত ব্যাক টু ব্যাক এলসি, বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধাসহ অন্য সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তিনি ঢাকা চেম্বার কর্তৃক গৃহীত ‘আরএনআই (গবেষণা এবং উদ্ভাবন)’ কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান এবং আগামী বাজেটে গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতে আর্থিক বরাদ্দের আশ^াস প্রদান করেন। 
ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, দেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে প্রতিবেশি প্রতিযোগী দেশগুলোর ন্যায় অবকাঠামো খাতে জিডিপির ৬ থেকে ৮ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ রাখার পাশাপাশি অবকাঠামো খাতে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য বন্ড মার্কেট উন্নয়ন, বন্ড ব্যবস্থার প্রবর্তন এবং গ্রীন ফিল্ড অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকে শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্তকরণ প্রয়োজন। সম্ভবনাময় দেশগুলো যেমন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোতে বাজার সম্প্রাসারণে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদন করার জন্য অর্থনৈতিক কূটনীতি আরও শক্তিশালী করা, বন্দরের কার্যক্রমকে দ্রুত এবং সহজীকরণ করার প্রস্তাব করেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বিদ্যমান কোম্পানি আইনে কোম্পানির ঋণ গ্রহণে পরিচালকের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি বিলোপ, কোম্পানির বিলোপ, একীভূতকরণ, কোম্পানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তি বিশেষত ইভোটিং, ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ব্যবহার প্রভৃতি অন্তর্ভুক্তকরণের মাধ্যমে আইনটি সহজীকরণের আহ্বান জানান। 
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এনকেএ মবিন, এফসিএ, এফসিএস, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বাশিরউদ্দিন, পরিচালক ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, আন্দালিব হাসান, নূহের লতিফ খান, ইঞ্জি. মো. আল আমিন, আশরাফ আহমেদ, আরমান হক, মো. জিয়া উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার শামসুজ্জোহা চৌধুরী, এসএম জিল্লুর রহমান, এনামুল হক পাটোয়ারী, মনোয়ার হোসেন এবং মো. শাহীদ হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।