পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের (এসবি) এক কর্মকর্তাকে পেটানোর অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর শাখাওয়াত হোসেন শওকতসহ আটজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় খিলগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আটজনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার এসআই নাজমুল। পরে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী তাদের কারগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলো মারুফুর রহমান ইমন, ওয়ালিদ হোসেন আহাদ, জুনায়েদ হোসেন ফারহান, মিন্টু গাজী, মোখলেছুর রহমান, আলমগীর হোসেন সরদার ও মোস্তাফিজুর রহমান মন্টু। এদের মধ্যে কাউন্সিলরের ছেলে-ভাতিজা ও সমর্থক রয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রেডিও প্রতীক নিয়ে ভোট করে উত্তরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ সমর্থক শাখাওয়াত হোসেন।
খিলগাঁও থানার এসআই নাজমুল বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খিলগাঁও পল্লিমা ক্লাবের সামনে পুলিশের বিশেষ শাখার এসআই আবদুল মজিদ ও আরেক এএসআই যাচ্ছিলেন। এ সময় কাউন্সিলরের গাড়িবহর যাচ্ছিল। তখন তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে কাউন্সিলরের লোকজন এসআই মজিদকে মারধর করে। পরে এসআই মজিদ কর্তব্যকাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে শাখাওয়াত হোসেনসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। পরে ওই রাতেই কাউন্সিলরসহ আটজনকে আটক করে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মঙ্গলবার সকালে কাউন্সিলরকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাদের আদালতে হাজির করে মামলা তদন্তের স্বার্থে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী কাজী নজীবুল্লাহ হিরু আসামিদের জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ এ জামিনের বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।