কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ১৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সোমবার বিকালে রাজধানী নাইরোবির উত্তর-পশ্চিমে কাকামেগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। কেনিয়ার গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় শিশুরা স্কুল ছুটির পর ক্লাস থেকে বের হয়ে বাসায় ফেরার সময় পদদলনের এ ঘটনা ঘটে। কেনিয়ার শিক্ষামন্ত্রী জর্জ মগোহা ১৪ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সন্তান হারানো খুব বেদনাদায়ক ঘটনা। সন্তান হারানো মা-বাবার প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এ ঘটনায় আহত প্রায় ৪০ শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের কয়েকজনের অবস্থা সংকটজনক। আহত কিছু শিশুকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কীভাবে পদদলনের এ ঘটনা ঘটল, তা এখনও পরিষ্কার হয়নি। ঘটনার বিষয়ে একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে কাকামেগার পুলিশ কমান্ডার ডেভিড কাবেনা জানিয়েছেন। কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কুল ছুটির পর শিক্ষার্থীরা সরু একটি সিঁড়ি দিয়ে হুড়াহুড়ি করে নামার সময় সেটি ভেঙে পড়ে। দৈনিক ন্যাশন সংবাদপত্র বলেছে, দৌড়াতে থাকা কিছু শিশু ভবনটির চতুর্থ তলা থেকে পড়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা ভিডিওতে একটি হাসপাতালের সামনে বহু লোককে ভিড় করে থাকতে দেখা গেছে। আহত শিশুদের এখানেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। টুইটারে কেনিয়া রেডক্রস বলেছে, ‘প্রাণঘাতী পদদলনের’ ঘটনার পর জরুরি সহযোগিতা দিয়েছে তারা। যারা মারা গেছে, তাদের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে কেনিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা দ্রুত তদন্ত শুরু করে ‘ঘটনার আদ্যোপান্ত তুলে আনার’ আহ্বান জানিয়েছেন। গেল সেপ্টেম্বরে নাইরোবির একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ ধসে আট শিশু নিহত ও ৬৯ শিশু আহত হয়েছিল। বিডিনিউজ