দেশের পুঁজিবাজারে আবারও টানা দরপতন দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা তিন কর্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।
এদিন লেনদেনের শুরুতে ডিএসইতে প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে সূচকেও দেখা দেয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। প্রথম আধা ঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
কিন্তু বেলা ১১টার পর লেনদেনে অংশ নেওয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমতে থাকে, যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ফলে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে সূচক। সেই সঙ্গে পতন হয় ডিএসইর সবকটি মূল্য সূচকের।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমে ১৫১টির। আর দাম অপরিবর্তিত থাকে ৬১টির। বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের এ দরপতনের কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়া সূচক ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৭৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৪৪ কোটি ৫ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জাহোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এডিএন টেলিকমের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার। ৯ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছেÑ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যাল, বিবিএস ক্যাবলস, এমএল ডাইং, অ্যাডভেন্ট ফার্মাসিউটিক্যাল এবং কপারটেক।