আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৭-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

মেসি-আবিদাল দ্বন্দ্বের অবসান!

স্পোর্টস ডেস্ক
| খেলা

খেলার মাঠে বল দখল নিয়ে হয়তো ঠোকাঠুকি হয়েছে মেসির। কিন্তু বার্সার কারও সঙ্গে এতটা আগ্রাসী মেসিকে খুব কমই দেখা গেছে। এবার ঘরের মানুষ বার্সার স্পোর্টিং ডিরেক্টর এরিক আবিদালের ওপর রেগে গেছেন মেসি। বার্সা ফুটবলারদের খেলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আবিদাল, এরপর আবিদালদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মেসি। দুইজনের কথার লড়াইয়ে ঘি ঢেলেছিল ম্যানসিটি! আগামী গ্রীষ্মকালীন দলবদলে মেসিকে প্রিমিয়ার লিগে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে তারা। গণমাধ্যম ‘গোল’ এমন গুঞ্জনের কথা জানিয়েছে। বার্সা-মেসির চুক্তিতে আছে একটি বিশেষ শর্ত, মেসি যদি মনে করেন এ মৌসুম শেষে তিনি ক্লাব ছাড়বেন, তবে ফ্রিতে সম্ভব। তার সঙ্গে বার্সার চুক্তি ২০২১ সাল পর্যন্ত। ম্যানসিটি মনে করছে, মেসি যদি অন্য কোনো ক্লাবে খেলে সেটি হবে পেপ গার্দিওয়ালার অধীনে ম্যানসিটিতেই। মেসিকে বছরে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড বেতন দেওয়ারও ক্ষমতা রাখে তারা।
বেফাঁস মন্তব্য করা আবিদালের চাকরি চলে যেতে পারেÑ এমন গুঞ্জনও শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত টিকে গেছেন তিনি। বার্সা প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া ও প্রধান নির্বাহী অস্কার গ্রাউয়ের সঙ্গে দুই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার আলোচনা শেষে টিকে যায় তার চাকরি। তবে জানা গেছে, সাবেক সতীর্থের সঙ্গে বাগ্্যুদ্ধের পর বার্সা প্রেসিডেন্ট বার্তেমেউকে ঘটনা বড় হতে না দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন তিনি। অনেকটা সে কারণেই টিকে গেছে আবিদালের চাকরি। কাগজে কলমে না হলেও ব্যাপারটা অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’ যে বার্সেলোনায় সর্বেসর্বা মেসি। তার সিদ্ধান্তেই হয় দলটির মূল পরিকল্পনা। সেই মেসিই যখন কারও ওপর ক্ষেপে যেন, তাহলে তার টিকে থাকাটা অনেকটা কঠিন হয়ে যায়। তাছাড়া প্রেসিডেন্ট বার্তেমেউর খুব প্রিয়ভাজনও এ আর্জেন্টাইন তারকা। তবে স্পোর্টসভিত্তিক গণমাধ্যম ইএসপিএনের সূত্র মতে, ঘটনাটা বাড়তে দেননি মেসিই। ক্লাবের ভালো জন্যই নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন তিনি। তাই বার্তেমেউকে যে করেই হোক সে ঘটনার দ্রুত সমাপ্ত করার অনুরোধ করেন মেসি।
ইএসপিনের সূত্র মতে, আবিদালের মন্তব্যে ইনস্টাগ্রামে কড়া ভাষায় সমালোচনা করার পর তার সঙ্গে তিনবার ফোনে কথা হয়েছে মেসির। যার ব্যাপ্তিও ছিল লম্বা সময়। নিজেদের মধ্যে সমঝোতা তখনই হয়ে যায় বলে জানিয়েছে তারা। মূলত, এ ঘটনা বেশি চাউর হলে মূল লক্ষ্য (শিরোপা জয়) থেকে সরে আসবে দলটি। এমনিতেই ক’দিন আগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছে লিগের শীর্ষস্থান খুইয়েছে তারা। তাই আপাতত খেলায় মনোযোগ দিতেই ঘটনাটি বড় হতে দেননি মেসি। এছাড়া আরও একটি সূত্র জানিয়েছে, আবিদাল নিজের চাকরি টিকিয়ে রাখার জন্য মেসিকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি নেইমারকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। আর ঘটনা যে সত্যি তার ইঙ্গিত দিয়েছেন নিজেই। আলোচনার পর গণমাধ্যমে বলেছেন, নেইমার বা যে কোনো প্রতিভাবান ফুটবলার সবসময় ক্লাবের জন্য ভালো। আমি এটাকে অসম্ভব দেখি না; আমরা এ নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করব। যদি নেইমারকে দলে আনতে পারি, তাহলে ভালো হবে।’