আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৭-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

চীন থেকে ফিরতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে

প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
| প্রথম পাতা

আত্মীয়স্বজন ও দেশের স্বার্থে, উহানসহ চীনের করোনা আক্রান্ত এলাকায় থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফিরতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় অসুস্থ হলে ওই দেশেই চিকিৎসা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিন এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, চীন থেকে আসা চীনা নাগরিকদের বাংলাদেশে আসতে হলে ভিসা নেওয়ার পাশাপাশি মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। এছাড়া অন অ্যারাইভাল ভিসায় কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, স্বল্প সময়ে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত কিটস আমদানি করা হয়েছে। তাছাড়া দেশে এখনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কাউকে শনাক্ত করা হয়নি। হাসপাতাল চিকিৎসক-নার্স প্রস্তুত। করোনা ভাইরাস দেখা দিলেও ছড়িয়ে যাওয়া রোধে সব প্র্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে বর্তমানে একজনও করোনা ভাইরাস রোগী নেই। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের স্বাস্থ্য খাত পূর্ণ সজাগ রয়েছে। এরই মধ্যে দেশের সব নৌ, স্থলবন্দর, বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়েছে। অধিক সতর্কতার জন্য চীনের উহান থেকে বাংলাদেশে আসা চীনা নাগরিকদের অন অ্যারাইভাল ভিসা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। উহান থেকে ফেরৎ ৩১২ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে আশকোনা হজ ক্যাম্পে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারাইনটাইনে রাখা হয়েছে এবং সরকারিভাবে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
দেশে বর্তমান প্রয়োজনীয় মাস্ক সংকট আছে কি নাÑ জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান শিগগিরই জাপান সরকার বাংলাদেশকে ৭০ লাখ মাস্ক বিনা মূল্যে প্রদান করবে বলে আশ^স্ত করেছে। মাস্কগুলো দেশে এলে বাজারে মাস্কের সংকট কমে যাবে। 
মাস্ক সংকট প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের সব মানুষকেই মাস্ক পড়ে বাইরে ঘোরার প্রয়োজন নেই। যাদের সর্দি, কাশি, জ্বর আছে শুধু তারাই মাস্ক ব্যবহার করবে, যাতে তাদের কাছ থেকে কোনো ছোঁয়াচে রোগ অন্যদের সংক্রমিত করতে না পারে।
প্রাণঘাতী এ করোনা ভাইরাসে চীনের মূল ভূখ- ও এর বাইরে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬৪ জনে। এক দিনেই মৃত্যু হয়েছে ৭০ জনের। বুধবার চীনে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৮৭ জন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী আ খ ম মহিউল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা।