আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৭-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সিঙ্গাপুর যাবেন দুদক কর্মকর্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
| প্রথম পাতা

দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে ‘শিগগিরই’ সিঙ্গাপুরে দুদকের একটি টিম পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির কর্মীদের শিশুদের জন্য ‘ডে কেয়ার সেন্টার’ উদ্বোধনকালে এ তথ্য জানান তিনি।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গতকাল কমিশনে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা হলো আমাদের আসামিদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফেরত আনার চেষ্টা করছি। আমরা অর্থ পাচারের বিষয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে বেশ কিছু তথ্য পাচ্ছি। এসব তথ্যের ভিত্তিতে আমরা দুদক থেকে টিম পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা করছি। আমাদের টিম এখানকার আদালতের আদেশ নিয়ে ওই দেশের আদালতের কাছে যাবে ওই অর্থ বাজেয়াপ্ত করার জন্য। এরই মধ্যে হংকংয়ে এমন একটি হয়েছে। এমনিভাবে অন্যান্য দেশেও আমাদের টিম যাবে। দেশ থেকে পাচার করা অর্থ বা জনগণের সম্পদ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, শুধু ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে নয়, আমরা আরও বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি, যার ভিত্তিতে শিগগিরই সিঙ্গাপুরে টিম পাঠানো হবে। তারা অবৈধ বা পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনবে। আর বিদেশে অবস্থানরত আসামিদের বিষয়ে শিগগিরই ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছি আমরা।
‘গডফাদার’ ধরতে গোয়েন্দা নিয়োগ : জেলা পর্যায়ের ‘গডফাদার’ শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনতে ২২ জেলায় গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে দুদক চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন, আমরা দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ২২ জন গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে যাচ্ছি। এ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হবে জেলায় জেলায় কারা গডফাদার, কারা সন্ত্রাসী করে বিপুল অর্থের মালিক হচ্ছেন, কারা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্থ উপার্জন করছে, তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য নেওয়া। তার ভিত্তিতে আমাদের প্রধান কার্যালয় থেকে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গডফাদার বলতে আমরা বোঝাচ্ছি যারা মাদকের ব্যবসা করছে, সন্ত্রাস করছে, যারা সরকারি সম্পত্তি বেদখল করছে, অবৈধ সম্পদের মালিক হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেই কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময় দুদকের দুই কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান (অনুসন্ধান) ও এএফএম আমিনুল ইসলামসহ (তদন্ত) কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।