ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, সিএস জরিপের সময়ের অবশিষ্ট ভূমি খাসজমি হিসেবে তালিকাভুক্ত হবে।
তিনি বলেন, এ ভূমি কোর্ট অব ওয়ার্ডস বা নওয়াব এস্টেটের নামে তালিকাভুক্ত হবে না। আর প্রজাবিলি সম্পত্তি শিগগিরই প্রকৃত দাবিদারের নামে নামজারি করা হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে কক্ষে চলমান ভূমি জরিপ কার্যক্রম বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
ভূমিমন্ত্রী আরও জানান, মুজিববর্ষে অগ্রগণ্য, অসমাপ্ত জরিপ সুসম্পন্ন প্রতিপাদ্যে উজ্জীবিত হয়ে ২০২০ সালের মধ্যেই চলমান সব জরিপ কাজ শেষ করবে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর। তিনি বলেন, জরিপ কাজে দীর্ঘসূত্রতা, একজনের জমি আরেক জনের নামে দেওয়া কিংবা জমির পরিমাণ কম-বেশি করে নকশা প্রস্তুত করার মতো অনিয়ম বছরের পর বছর চলতে পারে না।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন, আমি এমনভাবে কাজ করতে চাই, যেন ভূমিমন্ত্রী হিসেবে আমার কার্যকাল স্বর্ণযুগ হিসেবে বিবেচিত হয়। তিনি আরও বলেন, জরিপের কাজে আমাদের টেকসই ও স্থায়ী সমাধানে আসতে হবে। এ সময় ভূমি সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তসলীমুল ইসলাম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ করিমসহ জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, চলমান জরিপের মধ্যে, বর্তমানে ৩৭৮টি মৌজার ডিজিটাল জরিপ এবং ৯ হাজার ৩৯১টি মৌজার ম্যানুয়াল জরিপ বাকি আছে। সব জরিপ ২০২০ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।