আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৭-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

মাস্ক প্রয়োজন শুধু অসুস্থ ও তার সেবাদাতাদের জন্য

করোনা ভাইরাস নিয়ে আইইডিসিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক
| প্রথম পাতা

চীনে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বাংলাদেশে মাস্কের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর বলেছে, সবার মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই, শুধু চীন ফেরতদের কেউ অসুস্থ হলে তিনি ও তার সেবাদাতারা তা ব্যবহার করবেন। 
দেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিক এবং উহান থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের পরীক্ষা করে এখনও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েনি। এখন অনেকেই মাস্ক পরে রাস্তায় বের হচ্ছেন। বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিকরাও প্রচুর মাস্ক কেনায় বাজারে চাহিদা বেড়ে দাম বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। 
বৃহস্পতিবার মহাখালীতে আইইডিসিআর’এ করোনা ভাইরাস ঠেকাতে পদক্ষেপের সর্বশেষ তথ্য নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা মাস্ক নিয়ে বলেন, অনেকের মধ্যে কনফিউশন আছে মাস্ক ব্যবহার করবে কী করবে না। আমাদের দেশে এখনও নভেল করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। যারা চীন থেকে এসেছেন তাদেরও আমরা আইসোলেশনে রেখেছি। সুতরাং সবার মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন নেই।
কাদের মাস্ক ব্যবহার করা দরকারÑ সে বিষয়ে অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, চীন থেকে আসা সন্দেহজনক ব্যক্তি যার জ্বর, কাশি, গলাব্যথার মতো উপসর্গ রয়েছে তিনি মাস্ক ব্যবহার করবেন। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির সেবাদাতা মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। যারা হোম আইসোলেশনে আছেন বা উহান থেকে যারা এসেছেন, তাদের সংস্পর্শে যারা যাবেন, তারা মাস্ক ব্যবহার করবেন। এছাড়া চিকিৎসক যারা আছেন তাদের মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন।
চীনের উহান থেকে ফিরিয়ে এনে আশকোনায় হজ ক্যাম্পে রাখা কারও মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নেই বলে আইইডিসিআর’র পরিচালক বলেন, আমাদের হজ ক্যাম্পে যারা আছেন, তাদের মধ্যে এ রোগের কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ নেই। তারা কেউ রোগী নন, তারা সবাই সুস্থ। তারা মাস্ক ব্যবহার করেন। সুতরাং তাদের কাছ থেকেও রোগটি ছড়ানোর আশঙ্কা আমরা করছি না।
অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেনÑ এমন সন্দেহে বুধবার পর্যন্ত ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও শরীরেই করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। এটা স্বস্তির যে, আমরা এখন পর্যন্ত কোনো নমুনার মধ্যেই করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাইনি। আশকোনার হজ ক্যাম্পে অবস্থানকারীদের পরিবারের সদস্যরা চাইলে আইইডিসিআর’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। এজন্য প্রতিদিন বিকাল ৩টায় তারা আসতে পারেন বলে অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিকাল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে যে যখন আসবেন, তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের আত্মীয়স্বজন সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পারবেন। এমনকি করোনা ভাইরাস নিয়ে কিছু জানার থাকলেও তারা আমাদের কাছে জানতে পারবেন। আইইডিসিআর’র তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা ৭ হাজার ৬৯৩ জনের স্ক্রিনিং হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় স্ক্রিনিং হয়েছে ৪০৯ জনের। এদের কারও শরীরেই করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায়নি।