আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৭-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

চিকিৎসায় এইচআইভির ওষুধ ব্যবহার করছে চীন

করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে

আলোকিত ডেস্ক
| শেষ পাতা

প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে মরিয়া চীন আক্রান্তদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে এইচআইভি বা এইডস রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ কাজে লাগাচ্ছে। চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ২৮ হাজার। ভাইরাস আক্রান্তদের জন্য কোনো টিকা ও রোগ উপশমকারী ওষুধ না থাকায় চীনকে এইচআইভির ওষুধ দিয়ে এর চিকিৎসা করতে হচ্ছে।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ওষুধটির কার্যকারিতার কোনো প্রমাণ না থাকার পরও চীনের ‘ন্যাশনাল হেলথ কমিশন’ (এনএইচসি) বলেছে, এইচআইভির চিকিৎসায় ব্যবহৃত ‘লোপিনাভির’ ও ‘রিটোনাভির’ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদেরও দেওয়া যেতে পারে। যদিও এ ওষুধ কীভাবে কাজ করবে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু জানায়নি তারা। আবভিয়ে কোম্পানি ‘লোপিনাভির’ ও ‘রিটোনাভির’র সমন্বয়ে তৈরি ওষুধ কালেট্রা নামে বাজারজাত করে থাকে, একে অ্যালুভিয়াও বলা হয়। এ ওষুধ সাধারণত এইচআইভি-এইডস রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। আবভিয়ে কোম্পানি গেল মাসে জানিয়েছিল, চীন এ ওষুধটি করোনা ভাইরাসের লক্ষণের চিকিৎসায় পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করে দেখছে।
চীনের ‘ন্যাশনাল হেলথ কমিশন’ বলেছে, কার্যকর কোনো অ্যান্টিভাইরাস ওষুধ না থাকায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের দিনে দুইবার দুটি লোপিনাভির ও রিটোনাভির ট্যাবলেট এবং দিনে দুইবার এক ডোজ আলফা-ইন্টারফেরন নেবুলাইজার দিয়ে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ল্যানসেট মেডিকেল জার্নাল গেল শুক্রবার জানিয়েছে, নভেল করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় লোপিনাভির ও রিটোনাভির ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এ পরীক্ষা চলতে থাকার মধ্যেই চীনের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ একটি টিকা তৈরির কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে দ্য গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা।
তাইওয়ানের অভিযোগ : তাইওয়ানে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের সংখ্যা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) চীন ভুল তথ্য দিচ্ছে। তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ অভিযোগ করেছে। ডব্লিউএইচও তাইওয়ানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের ভুল সংখ্যা প্রকাশ করার পর বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ অভিযোগ করল। চীনের আপত্তির কারণে তাইওয়ান ডব্লিউএইচওর সদস্য হতে পারেনি। বেইজিংয়ের কথায়, এ দ্বীপটি কোনো রাষ্ট্র নয়। তাইওয়ানবে নিজেদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলে মনে করে চীন। ডব্লিউএইচওতে চীন পুরোপুরিভাবে তাইওয়ানের প্রতিনিধিত্ব করে। মঙ্গলবার ডব্লিইএইচও তাইওয়ানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে একটি ভুল প্রতিবেদন ঠিক করেছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছিল, তাইওয়ানে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন। কিন্তু ওই সময় মাত্র ১০ জন এ ভাইরাস আক্রান্ত ছিলেন বলে দাবি তাইওয়ানের। বর্তমানে তাইওয়ানে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১১। যেখানে চীনে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জোয়ানে ওউ বলেন, মূল সমস্যাটি হচ্ছে, চীন ডব্লিউএইচওকে ভাইরাস আক্রান্তের ভুল পরিসংখ্যান দিচ্ছে। বিডিনিউজ