চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় দেশের মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ও স্টার্টআপে সহায়তা দিতে সরকার বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই শিক্ষার্থীদের কোডিং শেখানো হচ্ছে। ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি কাজ করছে। শনিবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপ-২০২০, বাংলাদেশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফর ডাবল ডিজিট গ্রোথ’ শীর্ষক সেশনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন, ভিসিপিয়ার চেয়ারম্যান ও ইনজেনারেল গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পেগাসাস টেক ভেঞ্চারসের জেনারেল পার্টনার ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিস উজ্জামান, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ডক্টর জামাল উদ্দিন আহমেদ, চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব এর ফাউন্ডার মুনীর হোসেনসহ অন্যরা।
সালমান এফ রহমান বলেন, জ্বালানি, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিগত ১১ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করেছে। গার্মেন্ট সেক্টরের পর তথ্যপ্রযুক্তি বাংলাদেশের নেক্সট বিগ থিং। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন এবং এ বিষয়ে সব সময় খোঁজখবর রাখছেন ও নিজে তদারকি করছেন।
মুজিবর্ষকে সামনে রেখে এ বছর জাঁকজমকভাবে স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২০ যৌথভাবে আয়োজন করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইসিটি ডিভিশন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) ও বাই ইজেনারেশন। স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপের বাংলাদেশ আঞ্চলিক পর্বে দেড় শতাধিক স্টার্টআপ আবেদন করে। এর মধ্যে আঞ্চলিক চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়ার জন্য দেশের ৮টি কোম্পানিকে নির্বাচিত করা হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে শুধু একটি এক বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে অন্তত ৫টি বিলিয়ন ডলারের মূল্যমানের কোম্পানি অথবা ইউনিকর্ন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশে বর্তমানে এক দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম রয়েছে। এটিকে ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সেমিনারে উল্লেখ করা হয়। বক্তারা বলেন, এসব স্টার্টআপগুলোতে বর্তমানে প্রত্যক্ষভাবে দেড় লাখ এবং পরোক্ষভাবে সাত লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। ভিশন ২০২৫ সাল নাগাদ প্রত্যেক্ষভাবে ১০ লাখ এবং পরোক্ষভাবে ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।