আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৯-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

আমার ভাষা আমার দায়িত্ব

ভাষা

| সম্পাদকীয়

রায়হান আহমেদ তপাদার লেখক ও কলামিস্ট [email protected]

সর্বস্তরে বাংলাভাষা চালু করার যে জাতীয় অঙ্গীকারের কথা আমরা প্রায়ই বলে থাকি তা কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে? কেন জানি মনে হচ্ছে, মাতৃভাষার প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করা হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজি। চারদিকে ইংরেজিতে লেখা পোস্টার-ব্যানারের জয়জয়কার। ক্রিকেটের বিভিন্ন দল বা ক্লাবের নাম রাখা হচ্ছে ইংরেজিতে। সর্বোপরি শিক্ষার মান নিয়েও এখন কথা হচ্ছে! স্কুল-কলেজগুলোতে ভালো করে না শেখানো হচ্ছে 
বাংলা, না শেখানো হচ্ছে ইংরেজি

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিও আমাদের জাতীয় জীবনে এ সংকট নেমে এসেছিল। ধর্মের সঙ্গে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির সংঘাত বাধিয়ে দিয়েছিল। এ সংঘাত থেকে রক্ষা করেছে একুশের আত্মদানকারীরা। আত্মত্যাগের ওপর সভ্যতার ভিত রচিত হয়। এ কথা বললে ভুল হবে না যে, বাঙালির সভ্যতার ভিত রচিত হয়েছে একুশের শহীদদের আত্মদানের ওপর, ভাষাই মানুষকে মানুষ করে তোলে। নির্মম সত্য কথা। মানুষের যখন ভাষা ছিল না, তখন মানুষ ও পশুর সঙ্গে পার্থক্য ছিল না। মানুষের ব্যক্তি জীবন, সমাজ জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন ও জাতীয় জীবনের বিকাশ ঘটে ভাষার মাধ্যমে। ভাষা মানুষের বেঁচে থাকার হাতিয়ার। এ হাতিয়ার কেড়ে নিতে চেয়েছিল শাসকরা, রুখে দিয়েছিল ভাষা শহীদরা। মানুষের মতো মানুষ হতে হলে চাই মাতৃভাষা, চাই নিজেদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি। স্বদেশপ্রেম জন্মভূমির জন্যে মানুষের এক ধরনের অনুরাগপূর্ণ ভাবাবেগ। এক কথায় স্বদেশপ্রেম বলতে বোঝায় নিজের জন্মভূমিকে অন্তরের অন্তস্তল থেকে ভালোবাসা। জন্মসূত্রে মাতৃভূমির সঙ্গে গড়ে ওঠে মানুষের নাড়ির যোগ। স্বদেশের জন্য ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মনেই জন্ম নেয় গভীর প্রীতি ও ভালোবাসা। যে ভালোবাসা অন্তর থেকে উৎসারিত। বড় হয়ে মানুষ অন্য কোথাও চলে যেতে বাধ্য হলেও জন্মভূমির মায়া কখনও ভুলতে পারে না। জন্মভূমির প্রতি, শৈশবের লীলাভূমির প্রতি মানুষের এ সীমাহীন আকর্ষণ ও অকৃত্রিম ভালোবাসাকেই বলে স্বদেশ প্রেম। স্বদেশের মাটি, আলো, বাতাস, আবহাওয়া, আকাশ, ঋতু বৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষের মনকে সদা উৎফুল্ল করে ও আচ্ছন্ন রাখে। জন্মভূমির শ্যামলমাটি, সবুজ বনানী ও অন্ন-জলের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ অপরিসীম ও চিরন্তন। 
স্বদেশকে ভালোবেসে যুগে যুগে অনেক বীর যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। আমাদের মুক্তিও তেমনি দেশপ্রেমের এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধুর ডাকে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একপ্রাণ হয়ে দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মূলত দেশপ্রেম এমন একটি গুণ, যা একজন মানুষকে তার স্বার্থ, স্বাচ্ছন্দ্য, আনন্দ এমনকি দেশের বৃহত্তর স্বার্থের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করতে বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করে। স্বদেশ প্রেমের অনন্ত স্পৃহা মানুষকে দায়িত্বশীল, কর্তব্যপরায়ণ, উদ্যমী ও উজ্জীবিত করে তোলে। তাছাড়া, স্বদেশ মানুষকে স্বার্থপরতা, সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীগত সংকীর্ণতা ও রাজনৈতিক মতাদর্শ ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে তুলে এক স্বপ্নীল ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে সক্ষম করে তোলে। একজন দেশপ্রেমিকের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্যই হলো তার দেশের সব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আত্মনিয়োগ করা। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য যেমন প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিক অতন্দ্র প্রহরীর মতো সজাগ থাকতে হবে, তেমনি দেশের শিক্ষা, শিল্প, কৃষি, বাণিজ্য ইত্যাদি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কাজ করা ও ত্যাগ স্বীকার করা সত্যিকার দেশপ্রেমিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। এছাড়া ব্যাকরণ অনুযায়ী সাধু ভাষার কথ্য প্রয়োগ অনুমোদিত না হলেও এখন সাধু ভাষায় কথা বলাটাই মনে হচ্ছে শ্রেয়। কেননা সবাই আজকাল বাংলা ভাষার কথ্য রূপ যা বানিয়েছে তা শুনলে নিজের মাতৃভাষাই অচেনা লাগে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কথাগুলো বিকৃত বাংলা ও ইংরেজি শব্দের ‘খিচুড়ি’। ভাষাশহীদরা ভাগ্যিস বেঁচে নেই, নইলে নিশ্চয়ই কষ্ট পেতেন। যে ভাষার জন্য তারা জীবন উৎসর্গ করেছেন পরবর্তী প্রজন্ম সে ভাষার কি হাল করেছে! অথচ পৃথিবীর আর কোনো জাতিরই মাতৃভাষার জন্য জীবন দেওয়ার নজির নেই, যা আমাদের আছে। 
এমনকি ভারতীয় বাঙালিরাও আমাদের ভাষা আন্দোলনের জন্য গর্ববোধ করেন। ভাষার বিবর্তন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু আমরা ইদানীং মাতৃভাষাকে যে ‘বাংলিশ’ রূপ দিয়েছি তাকে কোনোভাবেই বিবর্তন বলা যায় না। আমার মনে হয়, আমরা নিজের মাতৃভাষার গভীরে যেতে পারছি না। বাংলা ভাষার যে ধ্বনিব্যঞ্জনা, যে শ্রুতিমাধুর্য তার সঙ্গে আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি মিশে আছে। এখানেই এর স্বকীয়তা। কিন্তু আমরা যদি সেই ভাষার গভীরে না প্রবেশ করি তবে কখনোই এর স্বকীয়তা বজায় থাকবে না। বর্তমানে বিভিন্ন বিদেশি ভাষা শেখার ব্যাপক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নিঃসন্দেহ এটি একটি ভালো বিষয়। কিন্তু অন্যের মাতৃভাষা শেখার ব্যাপারে আমরা যতটা যত্নশীল নিজের মাতৃভাষার ক্ষেত্রে কি ততটাই? অথচ মজার বিষয় হচ্ছে, মাতৃভাষা ঠিকভাবে না শিখলে অন্য ভাষাও ভালোভাবে রপ্ত হয় না। ভাষা হচ্ছে যে কোনো জাতির বাহন, তাদের পরিচয়ের অংশ। যে কারণে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো তাদের ভাষার ব্যাপারে খুব সচেতন। যেমন জাপানে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যকীয় হচ্ছে জাপানি ভাষা শেখা। আমরা বাঙালি, বাংলা আমাদের মায়ের মুখের ভাষা। আমরা যদি নিজেদের খামখেয়ালিপনায় সেই ভাষাকে কদর্য রূপ দিই, তাহলে মায়ের ভাষাকে অশ্রদ্ধা করা হয়। প্রমিত উচ্চারণ যেমন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে, তেমনি আঞ্চলিক উপভাষাগুলোও একইভাবে অবহেলিত। আমাদের পূর্বসূরিরা জীবন দিয়ে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছেন। তাদের কাছে আমাদের রক্তের ঋণ রয়েছে। আর আমরা সে ঋণের দায় এড়াতে পারি না। মাতৃভাষার শুদ্ধ ব্যবহারের মাধ্যমেই সেই ঋণ কিছুটা হলেও শোধ হতে পারে। উত্তরসূরি হিসেবে এটুকু কি আমরা করতে পারি না?
মাতৃভাষার প্রতি গভীর আবেগ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা না থাকলে সে জাতির টেকসই ও সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন! বাংলা আমাদের মায়ের ভাষা, প্রাণের ভাষা। তবে কেন ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছর পরও ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য সংগ্রাম করতে হবে? সর্বস্তরে বাংলাভাষা চালু করার যে জাতীয় অঙ্গীকারের কথা আমরা প্রায়ই বলে থাকি তা কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে? কেন জানি মনে হচ্ছে, মাতৃভাষার প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করা হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজি। চারদিকে ইংরেজিতে লেখা পোস্টার-ব্যানারের জয়জয়কার। ক্রিকেটের বিভিন্ন দল বা ক্লাবের নাম রাখা হচ্ছে ইংরেজিতে। সর্বোপরি শিক্ষার মান নিয়েও এখন কথা হচ্ছে! স্কুল-কলেজগুলোতে ভালো করে না শেখানো হচ্ছে বাংলা, না শেখানো হচ্ছে ইংরেজি। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে এখন ইংরেজি ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ধার করা ভাষায় আর যাই হোক পরিপূর্ণ মানুষ হওয়া কঠিন! নদীর ওপারেতে বেশি সুখ খোঁজার মতো মাতৃভাষা বাংলা সঠিকভাবে আয়ত্ত না করে ইংরেজির প্রতি বেশি গুরুত্বারোপ কোনো ফল বয়ে আনতে পারে না। এখন না বুঝে বাংলা ভাষার সঙ্গে আমরা ইংরেজি ভাষার তুলনা করছি। ছোটবেলা থেকে সন্তানকে ইংরেজি শেখানোর যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ছি। সর্বোপরি বাংলা ভাষার প্রতি রাষ্ট্রিক, সামাজিক ও ব্যক্তিক অবহেলা বাড়ছে! ‘ভালো বাংলা বলতে পারি না’Ñ এটা বলতে পারাটাও যেন একধরনের যোগ্যতা হয়ে গেছে! সর্বোচ্চ আদালতে এখনও রায় লেখা হয় ঔপনিবেশিক ভাষা ইংরেজিতে। ইংরেজির আধিপত্য দিন দিন বাড়ছে। যে ভাষার জন্য অকাতরে রক্ত বিলিয়ে দিতে হয়েছে, সেই মাতৃভাষার প্রতি কি আমাদের দায়বদ্ধতা নেই? 
স্বাধীনতার পর ভাষার মর্যাদা রক্ষায় যেসব পরিকল্পনা ও উদ্যোগের সূচনা হয়েছিল, সেগুলো পরবর্তীকালে আর কেন এগিয়ে নেওয়া হয়নি, সে ব্যাপারে পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতে ইংরেজির পরিবর্তে বাংলার ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। শিশু বয়স থেকে শিক্ষার্থীর বাংলা ভাষার শোনা-বলা-পড়া-লেখা দক্ষতার গুণগত মান বাড়ানোর দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হবে বাংলা। মানুষের মতো মানুষ হতে চাইলে সবার আগে চাই মাতৃভাষায় পরিপূর্ণ জ্ঞান। মনের বিকাশ, নৈতিক চেতনার বিকাশ মাতৃভাষার মাধ্যমেই সম্ভব। স্বদেশপ্রেমের মহান আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আত্মোৎসর্গকারী ব্যক্তি অমর হয়ে থাকেন। অগণিত স্বাধীনতাকামী দেশপ্রেমিকের আত্মদানের ফলে বাংলাদেশ আজ স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র। বিশ্বের ইতিহাসে দেশপ্রেমের ভূরি ভূরি দৃষ্টান্ত বর্তমান। যুগে যুগে অসংখ্য দেশপ্রেমিক স্বদেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আত্মাহুতি দিয়েছেন। ভারত উপমহাদেশের ইতিহাসে শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, মহাত্মাগান্ধী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, নেতাজী সুবাস বসু, তিতুমীর মাস্টারদা সূর্যসেন, খুদিরাম প্রমুখের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখিত রয়েছে। বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বিভিন্ন সংগ্রামের মাধ্যমে স্বদেশপ্রেমের যে পরিচয় দিয়েছে তা বিশ্ববাসীর স্মৃতিপটে চিরকাল উজ্জ্বল আলোকবর্তিকার মতো ভাস্বর হয়ে থাকবে। আর এ রাষ্ট্রের আজ একবিংশ শতাব্দীর নতুন চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সব জড়তা ও পশ্চাৎপদতাকে পেছনে ফেলে শৌর্য-বীর্য সমৃদ্ধিতে বিশ্ব সভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর। 
এজন্য দেশ গঠনের কাজে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সবাইকে স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও সমবেত করে ঐক্যবদ্ধ জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। তাহলেই বিস্ময়াবিষ্ট পৃথিবী মোহাবিষ্ট কণ্ঠে আবারও গেয়ে ওঠবেÑ সাবাস বাংলাদেশ!/এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়ঃ/জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার/তবু মাথা নোয়াবার নয়। জননী জন্মভূমি স্বর্গের চেয়ে বেশি বড় মনে করার পেছনে কাজ করে দেশপ্রেম। তাই মা আর জন্মভূমি বা নিজের দেশ একপর্যায়ে স্থান পায়। যে দেশের মাটিতে মানুষের জন্ম হয় সেদেশের ইতিহাস তার মনের ওপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। নিজের কুঁড়েঘর থেকে যেমন মানুষ সুখ খুঁজে পায়, তেমনি নিজের দেশকে ভালোবেসে প্রকৃত সুখ পাওয়া যায়। ১৯৭১ সালে মাত্র ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ চলে। এ যুদ্ধে লাখো লাখো মানুষ শহীদ হন। স্বাধীনতার শত্রুর কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছে রক্তিম সূর্য। মায়ের ভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য এ দেশের সূর্য সন্তানরা জীবন দিয়েছে। যাদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এদেশ। দেশকে ভালোবাসে বলেই আমরা এদেশ পেয়েছি, সেসব ব্যক্তির নাম ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে। দেশপ্রেম মানুষের মনকে উন্নত করে। দেশপ্রেমের ফলে মানুষের মন মহৎ ও উদার হয়। মনের ভেতর স্বদেশের জন্য ভালো কাজ করার উৎসাহ পায়। দেশপ্রেমের মহিমার ফলে জাগ্রত হয় অপরের জন্য কল্যাণ। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত স্বদেশ ছেড়ে ইউরোপে গিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন দেশের মাটি, মানুষ, প্রকৃতি কত যে প্রিয়। তাই বিদেশে অবস্থানকালে তিনি কপোতাক্ষ নদকে উপলক্ষ করে লিখেছিলেনÑ সতত, হে নদ তুমি পড় মোর মনে/সতত তোমারি কথা ভাবি এ বিরলে। হ