কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশি কৃষক সোলাইমান (৫০) মারা গেছেন। তিন দিন আগে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএসএফের তত্ত্বাবধানে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সোলাইমানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম। নিহত সোলাইমান দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মরারচরপাড়া গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে। তিনি কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ ফেব্রুয়ারি সীমান্তে ঘাস কাটার সময় সোলাইমান ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আহত হন। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে টেনেহিঁচড়ে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের (কুষ্টিয়া) অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম জানান, শুক্রবার দুপুরে ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোলাইমান মারা যান। বিএসএফ তার মৃত্যুর বিষয়টি বিজিবিকে নিশ্চিত করেছে। তার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও জানান এ বিজিবি কর্মকর্তা। এদিকে সোলাইমানের লাশ আজ হস্তান্তর হতে পারে বলে এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে বিএসএফ।
প্রসঙ্গত, ৪ ফেব্রুয়ারি এ উপজেলার ছলিমের চরপাড়া সীমান্ত এলাকায় নোম্যান্সল্যান্ডের ১৫৭/২ (এস) সীমানা পিলারসংলগ্ন বাংলাদেশি ভূখণ্ডে স্থানীয় কৃষক সোলাইমান, গাজী, রুবেল ও সাহাবুল ইসলাম ঘাস কাটতে যান। সে সময় ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গি থানার মুরাদপুর ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে সোলাইমান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তার সঙ্গে থাকা অপর কৃষক পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। পরে গুলিবিদ্ধ কৃষক সোলাইমানকে বিএসএফ সদস্যরা টেনে নিজ ক্যাম্পে নিয়ে যান।