অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, পাবলিক পরীক্ষায় নামের পরিবর্তে রোল পদ্ধতির প্রবর্তকসহ শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক, সাহিত্যিক, দার্শনিক, হজরত শাহ্ছুফী আলহাজ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার (রহ.) ৫৬তম বার্ষিক উরস শরিফ রোববার নলতা শরিফে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যময় পরিবেশে শুরু হয়েছে।
তিন দিনব্যাপী বার্ষিক উরস শরিফে দেশের বিভিন্ন স্থান ও বিদেশ থেকে আগত পীর কেবলার হাজার হাজার ভক্তের আবাসন, খাওয়া, এবাদত বন্দেগিসহ নানা বিষয়ে পাক রওজা শরিফের খাদেম এবং উরস শরিফ উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ মৌলভী আনছার উদ্দিন আহমদের বিশেষ দিকনির্দেশনায় ও নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে নলতাসহ আশপাশের এলাকায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশ ও সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। এরই মধ্যে ভক্তদের আগমনে নলতা শরিফে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
এরই মধ্যে দেশ-বিদেশ থেকে আগত হাজার হাজার জায়েরিন ভাইবোনের জন্য আবাসন ব্যবস্থা, রন্ধনশালা, খাওয়া, যানবাহনের সুব্যবস্থা, কেন্দ্রীয় মিশন অফিসের সামনে নান্দনিক গেটসহ নলতার বিভিন্ন এলাকা নানান সাজে সেজেছে। উরস উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ স্থান বা এলাকা সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বার্ষিক উরস শরিফে প্রখ্যাত ওলামায়ে কেরামগণ কোরআন ও হাদিসের আলোকে ওলি-আউলিয়াগণের জীবন দর্শন সম্পর্কে আলোচনা করবেন।
অনুষ্ঠানের সূচি হলো : ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার বাদ ফজর হতে সকাল ৯টা পর্যন্ত পাক রওজা শরিফে খতমে কোরআন, মিলাদ ও হজরত শাহ্ছুফী সৈয়দ গফুর শাহ আল হোচ্ছামী (রহ.) রুহের ওপর ছওয়াব রেছানি। সকাল ৯.৩০ থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পাক রওজা শরিফে হজরত শাহ্ছুফী আলহাজ খানবাহাদুর আহছানউল্লা (রহ.) বেছাল শরিফ উপলক্ষে কলেমাখানি, কুলখানি, আলোচনা সভা ও মিলাদ। দুপুর ১২টা, বাদ আছর ও বাদ এশা পাক রওজা শরিফে চাদর পেশ। রাত্র ১১টা থেকে ভোর ৪.৩০টা পর্যন্ত হজরত রাসুলে করিম (সা.) ও আউলিয়াগণের জীবনাদর্শ সম্পর্কে আলোচনা। ভোর ৪.৩০ থেকে সকাল ৬.৩০টা পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজ, ফজরের নামাজ ও মোনাজাত।
১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার বাদ ফজর হতে সকাল ১০টা পর্যন্ত পাক রওজা শরিফে খতমে কোরআন মজিদ, মিলাদ শরিফ ও কুতুবুল আকতাব হাজী হাফেজ হজরত সৈয়দ ওয়ারেছ আলী শাহ’র (রহ.) রুহের ওপর ছওয়াব রেছানি এবং পীর কেবলা হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (রহ.) আত্মীয়স্বজন ও ভক্তদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও আলোচনা সভা। বেলা ১১.৩০টায়, বাদ আছর ও বাদ এশা পাক রওজা শরিফে চাদর পেশ। বিকাল ৩.৩০টা থেকে ভোর ৪.৩০টা পর্যন্ত হজরত রছুলে করিম (সা.) ও আউলিয়াগণের জীবনাদর্শ সম্পর্কে আলোচনা, ভোর ৪.৩০টা থেকে সকাল ৬.৩০টা পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজ, ফজরের নামাজ ও মোনাজাত।
১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বাদ ফজর হতে সকাল ১০টা পর্যন্ত পাক রওজা শরিফে খতমে কোরআন মজিদ, মিলাদ শরিফ ও হজরত শাহ্ছুফী আলহাজ খানবাহাদুর আহছানউল্লা’র (রহ.) পাক রুহের ওপর ছওয়াব রেছানি, বিশ্বের মুছলিম উম্মাহর জন্য দোয়ার অনুষ্ঠান ও আখেরি মোনাজাত। আখেরি মোনাজাতের পূর্বে সরকারি চাদর পেশ। আখেরি মোনাজাত শেষে সকাল ১০.৩০টা থেকে দুপুর ১২.৩০টা পর্যন্ত শুধু নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সদস্যদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের বার্ষিক সাধারণ সভা নলতা শরিফ শাহী জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় অনুষ্ঠিত হবে।