মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যখন দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তখন সারা দেশে এক কোটি লোক ছিল না। তারা পার্শ্ববর্তী দেশে চলে গিয়েছিল, কোটি কোটি বাড়িঘর ছিল ধ্বংসস্তূপ। তিনি সেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের একটি সংবিধান দিয়েছেন। দেশকে পুনর্গঠনের জন্য তিনি প্রত্যকটা ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সেই অবস্থায়ও এই পর্যটন শিল্পকে তিনি অবহেলা করেননি। দেশকে সমৃদ্ধ করতে পর্যটন শিল্পকে আমাদের এগিয়ে নিতে হবে। শনিবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা
পিকনিক স্পট অ্যান্ড হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পার্শ¦বতী রাষ্ট্র সিঙ্গাপুর শুধু বিমানবন্দর ও নৌবন্দরের ওপর একটা রাষ্ট্র চালায়। আর আমাদের তো রয়েছে অপার সম্ভাবনা। ঐতিহাসিক স্থানের জন্য বাংলাদেশ যে বিশ্বের মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারে তা আমরা এ পর্যন্ত কাজে লাগাতে পারিনি। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ৬ বছর, এরশাদ ১০ বছর, খালেদা জিয়া ১০ বছর, সামরিক শাসনসহ প্রায় ৩০ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। কিন্তু তারা এ শিল্পকে গুরুত্ব দেয়নি, পৃষ্ঠপোষণ করেনি। বরং সেটাকে তারা উপেক্ষা করে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ শিল্পের গুরুত্ব উপলব্ধি করেই অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এ শিল্প এ জাতিকে শুধু পরিচিতির দিক দিয়ে নয়, অর্থনৈতিক দিক দিয়েও এদেশকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে। এ শিল্পের মাধ্যমে আমাদের সুনাম যেমন মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়বে এবং একই সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও বিকশিত হবে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মজিবনগর যে পর্যটন কেন্দ্র আছে, সেটা নামমাত্র মূল্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে দিয়ে দিয়েছে। আমরা ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সেটাকে গড়ে তুলতে চাই। মুজিবনগর ইতিহাস সমৃদ্ধ একটা অত্যাধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ঢাকা রিসোর্টের চেয়ারম্যান এমারত হোসেন সোহাগের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেনÑ বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) রামচন্দ্র দাস, গাজীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) এসএম তরিকুল ইসলাম, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমীন প্রমুখ।