শ্রমিক মৃত্যু রোধে সিলেটের ভোলাগঞ্জ ও শাহ আরফিন টিলা থেকে কয়েক সহস্রাধিক শ্রমিককে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গেল কয়েকদিনের অভিযানে ওই দুই কোয়ারি থেকে সহস্রাধিক তাঁবু অপসারণ করে আইনশৃঙ্খভলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সজল কুমার কানু এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শাহ আরফিন টিলায় পাথর উত্তোলনে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার শ্রমিক নিয়োজিত। শ্রমিকরা টিলা এলাকার আশপাশে তাঁবু টানিয়ে থাকতেন। গেল কয়েকদিনে তাঁবুগুলো গুঁড়িয়ে দিয়ে শ্রমিকদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভোলাগঞ্জ থেকেও শ্রমিককে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে পাথররাজ্য কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন কোয়ারিতে ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে পাথর উত্তোলন ও শ্রমিকের মৃত্যু ঠেকাতে পাথর কোয়ারিতে স্থাপন করা হচ্ছে পুলিশ ফাঁড়ি। প্রাথমিকভাবে শাহ আরেফিন টিলায় পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্য। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ধ্বংসের হাত থেকে আরেফিন টিলার অবশিষ্টাংশ রক্ষা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন আচার্য বলেন, উচ্চ আদালত ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ রয়েছে। এরপরও গর্তের মালিকরা ভিন্ন পন্থায় পাথর উত্তোলন করছে। এ অবস্থায় ফাঁড়ি স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক এ নিয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেবে। আশা করি, শিগগিরই পুলিশ ফাঁড়ি হবে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও টাস্কফোর্সের অভিযানের পরও দেশের বৃহৎ ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারিতে একাধিক সিন্ডিকেট নানা কৌশলে পাথর উত্তোলন করে আসছে। একসময় বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করা হলেও সম্প্রতি তা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু ভোলাগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে মাঝেমধ্যে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এছাড়া বৃহৎ কোয়ারিটি বন্ধ থাকায় পাথরখেকোদের নজর পড়ে আরেফিন টিলা ও কালাইরাগসহ কয়েকটি কোয়ারিতে। গেল কয়েক বছরে কালাইরাগ ও আরেফিন টিলা বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে।