থানা হতে হবে মানুষের সব আস্থা ও নির্ভয়ের প্রতীক। সবাই যেন থানায় গিয়ে সেবা পায় সেটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
শনিবার বিকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে ডিএমপি এক নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের একটি জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল; কিন্তু তা পারেনি, আমরা তা মোকাবিলা করেছি। নতুন করে মাদক দিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এতে আমরা উদ্বিগ্ন হলেও জঙ্গির মতো মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জয় হবেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা হচ্ছে সারা দেশের প্রতিচ্ছবি। ঢাকা শহর নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে হলে দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা ধরে রাখতে হবে। পুলিশও দক্ষতা বাড়িয়ে এ কাজটি করছে।
অনুষ্ঠানে আইজিপি বলেন, অপরাধবিহীন সমাজ আমরা কল্পনা করতে পারি; কিন্তু বাস্তবে অপরাধ ছাড়া কোনো শহর নেই। ঢাকা একটি ঘনবসতিপূর্ণ শহর। এখানে আমাদের জনবল, যানবাহনেও লজিস্টিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ কারণে আমাদের সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে। আর তা প্রতিনিয়ত মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আইজিপি বলেন, এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। থানায় যারা যায়, তারা সেবা পায় কিনা এটিও আমরা মনিটরিং করে থাকি। কমিউনিটিং বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ জনবান্ধব পুলিশে পরিণত হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার মোহা শফিকুল রহমান বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিএমপি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে ডিএমপিতে অপরাধপ্রবণতা হ্রাস পেয়েছে। ডিএমপির প্রতিটি থানায় ভুক্তভোগীদের দায়েরকৃত জিডি ও মামলা মনিটরিং করার জন্য হেডকোয়ার্টার্সে ‘মনিটরিং সেল’ করা হয়েছে। জিডি ও মামলার বাদীর সঙ্গে মনিটরিং সেল থেকে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করা হয়। ডিএমপিতে নাগরিকদের তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ ডাটা অপরাধীদের চিহ্নিত করতে সহায়তা করছে। থানায় নারী পুলিশ সদস্যদের জন্য আদালা ডেস্ক করা হয়েছে। সীমিত লজিস্টিক দিয়ে নগরীর যানবাহন ও ট্রাফিক ব্যবস্থা মোকাবিলা করতে হয়। তবে আমাদের সবার আনন্দ হতো, যদি এ শহরে একটি অপরাধ না হতো।
এর আগে কেক কাটার মধ্য দিয়ে ডিএমপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়। দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কয়েকজন মন্ত্রী, এমপিসহ উপস্থিত ছিলেন বিদেশি কূটনীতিক, সাবেক আইজিপি, শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।