ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের হাতেই খুন হয়েছেন মোক্তার হোসেন সৈকত। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার দেওপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল ওয়াহেদের ছেলে। প্রথমে এটি নিছক সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে থানায় জিডি হলেও পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে এ খুনের রহস্য বেরিয়ে আসে। এ ঘটনায় পিবিআই তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। দুপুরে প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান জেলা পিবিআই প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওসমান গনি। প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ২১ জানুয়ারি ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিরশ্বানী বাজার এলাকা থেকে মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মাথা ও মুখম-ল থেঁতলানো অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা ছিল এটি সড়ক দুর্ঘটনা। খবর পেয়ে পিবিআই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশনের মাধ্যমে লাশের পরিচয় শনাক্ত করে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার ১৬ দিনের মধ্যে সৈকতের ঘাতক ছিনতাইকারী ফেনী সদরের নোয়াবাদ গ্রামের আবুল হাসনাত ওরফে তারেক, দক্ষিণ শর্শদি গ্রামের সৈয়দ হাফিজুর রহমান সাইফুল ও কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাতাখালী গ্রামের রাসেলকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হয়।