খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১৪ কর্মচারী ছয় মাস ধরে বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। গেল বছরের আগস্ট মাস থেকে নির্বাহী প্রকৌশলীর পদ শূন্য থাকায় আটকে আছে কর্মচারীদের বেতন, উন্নয়ন কাজসহ অন্যান্য রুটিন কার্যক্রম। ছয় মাস অতিবাহিত হলেও শূন্য পদে নির্বাহী প্রকৌশলী পদায়ন না হওয়ায় অচলাবস্থা শুরু হয়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ এ বিভাগে। জানা গেছে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মধ্যকার সমস্যায় শূন্য রয়েছে খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী পদায়ন। মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ২০১৯ সালের ১১ জুলাই ৬৮৩ স্মারকে খাগড়াছড়ি ও বান্দবানের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেনকে শুধু বান্দরবান এবং কামাল হোসেন নামে একজনকে খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদায়ন করে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যস্ত। প্রজ্ঞাপন জারির পর ২৫ জুলাই খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের পত্র নং-২১৫৬ এ খাগড়াছড়ি জেলায় পদায়নকৃত কামাল হোসেনকে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে গ্রহণে অসম্মতি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে পত্র দেওয়া হয়। কামাল হোসেনের যোগদানপত্র গ্রহণ না করায় এবং পার্বত্য জেলা পরিষদ ছাড়পত্র না দেওয়ায় খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করেন সোহরাব হোসেন। ২০ অক্টোবর বিভাগীয় মামলার শুনানি ও কারণ দর্শানো বিজ্ঞপ্তির জবাব বিবেচনা করে ২৯ ডিসেম্বর সোহরাব হোসেনের সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী না থাকায় ছয় মাস ধরে ততীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১৪ জন বিভিন্ন পদের কর্মচারীর বেতন হচ্ছে না।