লালমনিরহাটে বুড়িমারীর লাইমস্টোন গ্রাইন্ডিং ফ্যাক্টরিতে পাথরের গুঁড়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শ্রমিকরা- আলোকিত বাংলাদেশ
লালমনিরহাট জেলা শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর। এখানেই গড়ে উঠেছে ২৫টির বেশি লাইমস্টোন গ্রিন্ডিং ফ্যাক্টরি। আর এসব ফ্যাক্টরি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এসব ফ্যাক্টরিতে পাথর গুঁড়ো করার কাজ করতে গিয়ে সিলিকোসিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শ্রমিকরা। তবুও কমেনি অসাবধানতা, আর এখনও মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন শত শত শ্রমিক। এখানে মেশিনের সাহায্যে লাইমস্টোন গুঁড়ো করে তৈরি করা হয় পোলট্রি ফিড আর ডলোচুন। এ ফ্যাক্টরিকে বলা হয় মৃত্যু ফাঁদ। লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকায় গড়ে উঠছে ২৫টিরও বেশি ফ্যাক্টরি। এসব ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে গিয়ে পাথরের গুঁড়োবাহিত রোগ সিলিকোসিসে আক্রান্ত হয়ে কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন শ্রমিক মারা গেছেন। আরও আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হয়েছেন অনেকেই। এখানে কাজ করে সিলিকোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও বসে নেই দিনমজুর শ্রমিকরা। কাজের অভাব থাকায় বাধ্য হয়ে তারা মৃত্যু ফাঁদে নিজেদের আঁকড়ে রাখছেন। ব্যবহার করছেন না রক্ষা পোশাক বিশেষ করে ফেস মাস্কস। অসচেতনতাই তাদের অসাবধানতার কারণ। লাইমস্টোন গ্রিন্ডিং ফ্যাক্টরিতে মেশিনে পাথর গুঁড়ো করার সময় শ্রমিকদের সারা শরীর, চোখ-মুখ, নাক সবকিছুই পাথরের ধুলায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় আর নিঃশ্বাসের সাহায্যে পাথরের গুঁড়ো মুখের ভেতর দিয়ে ফুসফুসে চলে যায়। একসময় গিয়ে তারা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে ধীরে ধীরে সিলিকোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন ।
বুড়িমারী পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান পরাগ জানান, যেহেতু এখানেই গড়ে উঠেছে ২৫টির বেশি লাইমস্টোন গ্রিন্ডিং ফ্যাক্টরি, এসব ফ্যাক্টরিতে পাথর গুঁড়ো করার কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকরা সিলোকোসিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে । স্থানীয় শ্রমিকদের মাঝে সিলিকোসিস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. মো. কাশেম আলী জানান, সিলিকোসিস রোগ থেকে বাঁচতে হলে শ্রমিকদের অবশ্যই কাজের সময় বিশেষ করে ফেস মাস্কস ব্যবহার করতে হবে । এ ছাড়া শ্রমিকদের মাঝে সিলিকোসিস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।