আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১১-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতার সম্মাননা পাচ্ছে ১০ প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক
| অর্থ-বাণিজ্য

 

সদ্যসমাপ্ত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতার সম্মাননা দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কর্তৃপক্ষ এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সম্মাননা প্রদান করবে।
ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কর্তৃপক্ষ সূত্র অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ৩৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকার ভ্যাট দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্ছ রয়েছে স্কয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট দেওয়ার পরিমাণ ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। ৩২ লাখ ৫ হাজার টাকার ভ্যাট পরিশোধ করে তৃতীয় স্থানে আছে সারাহ লাইফ স্টাইল লিমিটেড।
মেলার অন্য যেসব প্রতিষ্ঠান সম্মাননা পাবে তারা হলোÑ র‌্যাংকস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড, মাল্টি লাইন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ফিট এলিগেন্স লিমিটেড, নাভানা ফার্নিচার লিমিটেড, ফেয়ার ইলেট্রনিক্স লিমিটেড এবং বঙ্গ বেকারস লিমিটেড।
ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট চলতি মাসে দিনক্ষণ নির্ধারণ করে ব্যবসায়ীদের এ বিশেষ সম্মাননা প্রদান করবে। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতেই প্রতি বছর বাণিজ্য মেলায় সংগৃহীত সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। ঢাকা পশ্চিম জোনের কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনার মঈনুল খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, এবার মেলায় সর্বমোট ভ্যাট আদায় হয়েছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। গেল বছর মেলায় এ ভ্যাট আহরণ হয়েছিল ৭ কোটি ২ লাখ টাকা। এবারের মেলা স্টলের সংখ্যা ও দর্শনার্থীর সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় ভ্যাট কর্তৃপক্ষের নজরদারি সত্ত্বেও ভ্যাট আহরণ কিছুটা কম হয়েছে। মেলায় এবার ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট থেকে আটটি টিম নজরদারি করে। নতুন ভ্যাট আইনের পরিপালন নিশ্চিত করতে ও যথাযথ ভ্যাট আহরণ করতে ২৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়। এতে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়।
উল্লেখ্য, এ বছর স্টলের সংখ্যা ছিল ৪৮৭, যা আগের বছর ছিল ৫৬৯টি। চলতি বছর দর্শনার্থীর সংখ্যা ২৩ লাখ। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ৩৫ লাখ।
এছাড়া, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চলতি বছরের মেলায় কেন্দ্রীয় নিবন্ধনের ক্ষেত্রে শুধু ৫ শতাংশ ট্রেড ভ্যাট আদায়ের নির্দেশনা দেয়। এতে শুধু হাতিল ফার্নিচার থেকেই প্রায় ৭৮ লাখ টাকা কম আহরণ হয়েছে। গেল বছর ভ্যাটের এ হার ছিল ১৫ শতাংশ। মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা শুরু হয় ১ জানুয়ারি। বিভিন্ন কারণে সাপ্তাহিক ছুটিতে তিন দিন (১০, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি) পূর্ণ দিবস বন্ধ ছিল। অন্যদিকে ৭, ৯ ও ২২ জানুয়ারি মেলা অর্ধদিবস বন্ধ ছিল। পরে মেলার মেয়াদ বাড়িয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি শেষ করা হয়। তবে মেয়াদ বাড়লেও তাতে কোনো শুক্র-শনিবার ছিল না এবং ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতিও তুলনামূলক কম ছিল বলে মেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।