আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১১-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

চূড়ান্ত অনুমোদন পেল বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
| অর্থ-বাণিজ্য

 

 

প্রাথমিক সম্মতিপত্র (লেটার অব ইনটেন্ট) পাওয়া বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংককে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় নতুন এ বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে সভায় পিপলস ব্যাংকের বিষয়ে আলোচনা হলেও শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
পাশাপাশি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংককে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তর ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক করার প্রস্তাব করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক বিবেচনায় ব্যাংক দুটিকে ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তরিত করার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পর্ষদ সভা শেষে এসব তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম। 
জানা গেছে, চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান উদ্যোক্তা হলেন বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন। যদিও শুরুতে ‘বাংলা ব্যাংক’ নামেই অনুমোদনের আবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল। দেশে তাদের প্লাস্টিক শিল্পসহ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। ১৭ পরিচালক ও তিন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়ে যাত্রা করবে ব্যাংকটি। বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক কার্যক্রম শুরু করলে দেশে সরকারি-বেসরকারি সব মিলিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬০টিতে।
এর আগে গেল বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি খাতের তিনটি নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেগুলো হলো বেঙ্গল কমার্শিয়াল, পিপলস ও সিটিজেন ব্যাংক। এর মধ্যে দ্য সিটিজেন ব্যাংকের মালিক হলেন বর্তমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মা জাহানারা হক। পিপলস ব্যাংকের উদ্যোক্তা চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা এমএ কাশেম। শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের জন্য ব্যাংকটির আবেদন করা হয়েছে।
বিধি মোতাবেক, ১০ লাখ টাকা ফি দিয়ে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন পেতে আবেদন করতে হয়। আর চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে ৪০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন লাগে। তবে এ তিনটি ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করতে শর্ত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া ব্যাংকগুলোকে প্রথমে রেজিস্ট্রার অব জয়েন স্টক কোম্পানিজ বা আরজেএসসি থেকে নিবন্ধন নিয়ে কোম্পানি গঠন করতে হবে। এরপর ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৩২ ধারা অনুযায়ী ব্যাংকের জন্য চূড়ান্ত লাইসেন্স দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।