দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুম থেকে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির দূরত্ব কত? সাত সমুদ্র তেরো নদীর পরে বললে অত্যুক্তি হবে না। রোববার পচেফস্ট্রুমে ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছেন লাল-সবুজ যুবারা; বিশ্বজয়ের উৎসবে রঙিন গোটা দেশ। কিন্তু পরদিনই (সোমবার) মুলধারার ক্রিকেটে হতাশার একটা দিন কেটেছে সিনিয়রদের; সোয়া তিন দিনেরও কম সময়ে স্বাগতিক পাকিস্তানের কাছে ইনিংস ও ৪৪ রানে টেস্ট হেরেছেন মুমিনুল হকরা। বোলিংয়ে শেষটায় ভালো করে, ব্যাটিংয়ের ভালো শুরু পেয়েও পিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানেই হারল বাংলাদেশ।
টেস্ট দলে মুমিনুল হকের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত, দেশসেরা ব্যাটসম্যান হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তার নেতৃত্বের শুরুটা হলো উল্টো রথে। সাকিবের নিষেধাজ্ঞায় টেস্ট নেতৃত্ব ঘাড়ে চাপে তার; নেতৃত্বের তিন টেস্টে হয় তামিম, নয়তো মুশফিককে না পাওয়া মুমিনুল এবং তার দল তাই বিবর্ণ। ভারতের মাটিতে দুই টেস্টেই ইনিংস ব্যবধান হারের পর রাওয়ালপিন্ডিতেও লেখা হলো একই ফল। টানা তিন টেস্টে ইনিংস হার! রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিন ঘটনাবহুল। প্রথম দিন দুর্দান্ত ব্যাটিং করা পাকিস্তানকে ৪৪৫ রানে থামায় বাংলাদেশ, এরপরও স্বাগতিকরা পায় ২১২ রানের লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-সাইফ ফিরে গেলেও মুমিনুল হক-নাজমুল শান্ত গুছিয়ে নিয়েছিলেন। তবে পিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশের ভাগ্যে হার লেখা হয়ে গিয়েছিল আগেই। কিন্তু ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল ইনিংস হার এড়ানো সময়ের ব্যাপার। পড়ন্ত বেলায় নাসিম শাহর হ্যাটট্রিকে স্রেফ লন্ডভন্ড বাংলাদেশের ব্যাটিং-লাইন। শূন্য রানে ফিরে যান তাইজুল, মাহমুদউল্লাহ ও মিঠুন। তার আগে ৩৮ রান করে আউট নাজমুল, তামিম ৩৪ রান।
সোমবার চতুর্থ দিন মুমিনুলদের চ্যালেঞ্জ ছিল ইনিংস হার এড়ানো। কিন্তু সকালেই ৪১ রান করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক। পরে লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৮ রানে অলআউট বাংলাদেশ; যা প্রথম ইনিংসের (২৩৩) চেয়ে ৬৫ রান কম! প্রথম ইনিংসেও মুমিনুল (৩০), নাজমুল শান্ত (৪৪), মিঠুনরা (৬৩) সেট হয়ে উইকেট বিলিয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসেও একই বাংলাদেশকে।