আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১১-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

এটি হিমশৈলের চূড়া মাত্র : ডব্লিউএইচও

আলোকিত ডেস্ক
| আন্তর্জাতিক

চীনের বাইরে বিভিন্ন দেশে 
করোনা ভাইরাসের রোগী 
শনাক্ত নিয়ে সতর্কবার্তা

চীনের বাইরে অন্যান্য দেশেও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এমনকি যারা কখনও চীনে যাননি, তাদের শরীরেও ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)  প্রধান ডা. টেডরস আধানম ঘেব্রেয়েসাস। রোববার তিনি বলেছেন, চীনে ভ্রমণের ইতিহাস নেই যাদের, তাদের শরীরেও করোনা ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে, এরকম কিছু ঘটনার চিন্তাজনক উদাহরণ রয়েছে। সংখ্যায় অল্প হলেও এ ধরনের ঘটনা ব্যাপক আকারে, অন্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিতও হতে পারে এটি। ছোট করে বললে আমরা হয়তো হিমশৈলের চূড়ামাত্র দেখতে পাচ্ছি। বিশ্বের সব দেশের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন, চীনে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৯ শতাধিক মানুষ মারা গেছেন। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সম্ভাব্য  আগমন সম্পর্কে সব দেশই যেন ওয়াকিবহাল থাকে এবং এটিকে  মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকে। চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে দেশটিতে ৯শ’র বেশি মানুষ  ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। ভাইরাস আক্রান্তদের বাঁচাতে দিনরাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন চীনের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীরা। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন, এ মারণ ভাইরাসের মোকাবিলা করতে, সেসব চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সত্যিকারের নায়ক হিসেবে উল্লেখ করেছেন টেডরস। ডব্লিওএইচও’র প্রধান আরও বলেন, একটি ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার জন্য সব দেশকে  প্রস্তুত থাকতে হবে। এর অর্থ হলো দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরি ব্যবস্থা তৈরি রাখা, বিভিন্ন সরঞ্জামের ব্যবস্থা রাখা যা জনস্বাস্থ্যের প্রয়োজনে লাগবে। চিনের বাইরে ২৭টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে প্রায় ৩৫০ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।  ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়েপড়া ঠেকাতে বিভিন্ন দেশ তাদের দেশে চীন থেকে আসা লোকজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করছে। ভারত, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি,  ফ্রান্স,  বেলজিয়াম, সুইডেন, ফিনল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এনডিটিভি, দ্য গার্ডিয়ান