কমে আসছে নৌপথে বিআইডব্লিউটিসির যাত্রীবাহী জাহাজের সংখ্যা। ১৫ দিনে সংস্থাটির দুটি জাহাজ বিকল হয়েছে। এখন সচল জাহাজ আছে মাত্র তিনটি। লক্কড়ঝক্কড় এ জাহাজ দিয়ে সপ্তাহে তিন দিন ঢাকা থেকে চাঁদপুর-বরিশাল হয়ে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পর্যন্ত কোনো রকম যাত্রী পরিবহন করা যাচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসির জাহাজের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন উপকূলের যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, ‘পিএস মাহসুদ’ বিকল হওয়ার এক সপ্তাহের ব্যবধানে গত সপ্তাহে বিকল হয়েছে জাহাজ ‘লেপচা’। এখন যাত্রী পরিবহনযোগ্য সচল জাহাজ রয়েছে ‘এমভি মধুমতি’, ‘এমভি বাঙ্গালী’ ও ‘টার্ণ’। এ তিনটি জাহাজের অবস্থাও অনেকাংশে বেহাল। বিআইডব্লিউটিসির প্রধান প্রকৌশলী এমএ গফুর সরকার সাংবাদিকদের জানান, বিকল জাহাজ দুটি সংস্কার শেষে আবারও যাত্রী পরিবহনে আসতে লেপচা জাহাজের তিন মাসের বেশি এবং মাহসুদ জাহাজের এক মাস সময় লাগবে। এ পরিস্থিতিতে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার যথাক্রমে ‘এমভি মধুমতি’ ও ‘এমভি বাঙ্গালী’ এবং বুধবার ‘টার্ণ’ জাহাজ ঢাকা থেকে ছেড়ে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করবে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র আরও জানায়, সংস্থার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জাহাজগুলো উপকূলীয় এলাকা চাঁদপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, কাউখালী, হুলারহাট, চরখালী, বড়মাছুয়া ও মোরেলগঞ্জ পর্যন্ত গিয়ে আবার সেখান থেকে যাত্রী নিয়ে একইভাবে ঢাকায় ফিরে যায়। তবে এসব রুটের যাত্রী জানান, উপকূলীয় এলাকা মোড়লগঞ্জে বিআইডব্লিউটিসির জাহাজ ছাড়া অন্য কোনো বেসরকারি জাহাজ যাত্রী পরিবহন করে না। এখন বিআইডব্লিউটিসির জাহাজ সপ্তাহে তিন দিন থাকায় এখানকার যাত্রীদের অবশিষ্ট তিন দিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একই ধরনের অভিযোগ করেছেন বরিশাল ও ঝালকাঠির একাধিক যাত্রী।
প্রসঙ্গত, ঢাকা থেকে মোরেলগঞ্জ পর্যন্ত যাত্রী পরিবহনে বিআইডব্লিউটিসির জাহাজ ছিল সব মিলিয়ে সাতটি। তার মধ্যে ‘সোনারগাঁও’ জাহাজ মুখ থুবড়ে পড়ছে স্টিমার
কমপক্ষে পাঁচ বছর আগে এবং ‘পিএস অস্ট্রিচ’ দেড় বছর আগে ইজারা দেওয়া হয়। ইজারাদার প্রতিষ্ঠান এ জাহাজ দুটি ভাসমান রেস্তোরাঁয় পরিণত করে ঢাকার বুড়িগঙ্গায় বাণিজ্য করছে।