আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১১-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচন ভোট পুনঃগণনায় আলমগীর বিজয়ী কাউন্সিলর

নিজস্ব প্রতিবেদক
| প্রথম পাতা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের ভোটের ফল পরিবর্তনের যে অভিযোগ উঠেছিল, তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। ভোট পুনঃগণনায় সেখানে কাউন্সিলর পদে জয়লাভ করেছেন ‘ঝুড়ি’ প্রতীকের শেখ মোহাম্মদ আলমগীর। এর আগে কাউন্সিলর পদে জয়ী ঘোষিত হয়েছিলেন ‘টিফিন ক্যারিয়ার’ প্রতীকের প্রার্থী জুবায়েদ আদেল। ভোট পুনঃগণনার পর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে শেখ মোহাম্মদ আলমগীরকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে 

ডিএসসিসির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন এ ফল ঘোষণা করেন। ফল বদলে যাওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারকে দায়ী করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট হয়েছিল ডিএসসিসি ও ডিএনসিসিতে।
ইসি সূত্র জানায়, ১ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ শেষে বেসরকারিভাবে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ‘টিফিন ক্যারিয়ার’ প্রতীকের প্রার্থী জুবায়েদ আদেলকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর অভিযোগ ওঠে, নির্বাচনি কর্মকর্তারা ফল পরিবর্তন করে শেখ আলমগীরের পরিবর্তে জুবায়েদ আদেলকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ফল স্থগিত করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ফল স্থগিতের আট দিনের মাথায় সোমবার জুবায়েদ আদেলের পরিবর্তে শেখ মোহাম্মদ আলমগীরকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
পুরান ঢাকার লালবাগ ও বংশাল এলাকা নিয়ে গঠিত এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে আরও প্রার্থী ছিলেন হাজি এএম কাইয়ুম (রেডিও) ও ইরোজ আহমেদ (ঘুড়ি)।
আবদুল বাতেন জানান, আরমানিটোলা উচ্চবিদ্যালয়ের পুরুষ ভোট কেন্দ্রে (কেন্দ্র-৫২০) ঝুড়ি প্রতীকে পড়েছিল ৪৩৯ ভোট, আর ঘুড়ি প্রতীকে পড়েছিল ২০২ ভোট। কিন্তু সেটির উল্টো ফল আসে। ফলে টিফিন ক্যারিয়ারের প্রার্থী জিতে গিয়েছিলেন। পরে ঝুড়ি প্রতীকের প্রার্থী অভিযোগ দেওয়ার পর এটি যাচাই করে দেখা গেছে, প্রার্থী ও প্রিসাইডিং অফিসারের ফল ভিন্ন। পরে আমরা বাধ্য হয়ে ফল স্থগিত করেছি। পাশাপাশি বিধি ও আইন দেখেছি। প্রিসাইডিং অফিসার বলেছেন, তিনি লিখতে ভুল করেছেন। তিনি লিখিতও দিয়েছেন সেটি। ইভিএমের ফলই সত্য, প্রিসাইডিং অফিসার যেহেতু শিকার করেছেন, ভুল হয়েছে; তাই আমরা ইভিএমের ফলই গ্রহণ করেছি।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা আরও বলেন, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আলমগীর (ঝুড়ি) ২ হাজার ৪৭২ ভোট, জুবায়েদ আদেল (টিফিন ক্যারিয়ার) ২ হাজার ৪৪৫ ভোট, এএম কাইয়ুম (রেডিও) ৭২৩ ভোট ও ইরোজ আহমেদ (ঘুড়ি) ১ হাজার ৪৩৮ ভোট পেয়েছেন। যেহেতু শেখ মোহাম্মদ আলমগীর ঝুড়ি প্রতীকে ৯টি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪৭২ ভোট পেয়েছেন, সেজন্য আমি সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত হিসেবে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ মোহাম্মদ আলমগীরকে বিজয়ী ঘোষণা করলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আগে বিজয়ী ঘোষিত প্রার্থী জুবায়েদ আদেল। তিনি বলেন, এ ফলাফল আমি মানি না। কারণ আমাকে আগে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। আমাকে এ সংক্রান্ত কাগজও দেওয়া হয়েছে।