মাওনা চৌরাস্তাকে বলা হয় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র। সড়কটি বাসিন্দাদের পয়ঃনিষ্কাশন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পচা-দুর্গন্ধময় পানিতে বছরের ১২ মাসই ডুবে থাকে। দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। বছরের পর বছর দুর্ভোগে থাকলেও এ দুর্ভোগ লাঘবে নেওয়া উদ্যোগ বিফলে গেছে। মাওনা চৌরাস্তার ব্যবসায়ী রুহুল আমিন জানান, মাওনা চৌরাস্তার আশপাশের বহুতল ভবন, খাবার হোটেলসহ ছোটবড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র উপায় হলো মহাসড়কের পাশের ড্রেন। আর এ ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বছরজুড়েই জলাবদ্ধতায় মগ্ন থাকে মাওনা চৌরাস্তা। এ পানির দুর্গন্ধে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি ড্রেনটির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার জন্য পার্শ্ববর্তী কোনো খালে সংযোগ করে দেওয়া যায়, তাহলে এ দুর্ভোগ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক জানান, মাওনা-শ্রীপুর ও মাওনা-কালিয়াকৈর এ দুটি আঞ্চলিক সড়ক মাওনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এসে মিশেছে। এ দুটি সংযোগস্থলে বছরজুড়ে জলাবদ্ধতা থাকায় পুলিশের দায়িত্ব পালনে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক চিকিৎসক ফতেহ আকরাম জানান, যদি পানিতে মানব বর্জ্য ও পানি দূষিত হয়ে থাকে, তাহলে এ পানি শরীরের কোথাও লাগলে চর্ম রোগসহ পানিবাহিত রোগ হতে পারে। গাজীপুর সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফ উদ্দিন জানান, শুকনো মৌসুমে জলাবদ্ধতা হওয়ার কথা না, যেহেতু জলাবদ্ধতাটি বাসাবাড়ি, বাজার, খাবার হোটেলের দৈনন্দিন ব্যবহার্য পানি দ্বারা সৃষ্টি হচ্ছে, তাই সবার আগে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি ড্রেনে পানি ছাড়া বন্ধ করতে হবে। মাওনা চৌরাস্তা থেকে পানি সরিয়ে নিতে নতুন একটি ড্রেন নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি, নতুন ড্রেনটি নির্মাণ কাজ শেষ হলে এ দুর্ভোগ লাঘব করা সম্ভব হবে।