নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী দখল ও ভরাট এবং ইটিপি ছাড়াই তরল বর্জ্য নদীতে ফেলে শীতলক্ষ্যা নদীদূষণের অভিযোগে সাতটি শিল্পকারখানাকে মোট ৬ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এর মধ্যে ইটিপি ও পরিবেশগত ছাড়পত্র ব্যতীত কারখানা পরিচালনার মাধ্যমে শীতলক্ষ্যার পানিদূষণের অভিযোগে তিনটি কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। বাকি চারটি কারখানাকে ভরাটকৃত মাটি অপসারণ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের পরিচালক রুবিনা ফেরদৌসীর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকার এনফোর্সমেন্ট শাখার উপপরিচালক ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, নারায়ণগঞ্জ শাখার উপপরিচালক সাঈদ আনোয়ার, পরিদর্শক মঈনুল হক, মো. আবদুল গফুর, আসাদুল কিবরিয়াসহ র্যাব, পুলিশ, পল্লী বিদ্যুতের সদস্যরা।
পরিবেশ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ শাখার উপপরিচালক সাঈদ আনোয়ার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মাছুমাবাদ এলাকায় ইটিপি ও পরিবেশগত ছাড়পত্র ব্যতীত কারখানা পরিচালনার মাধ্যমে শীতলক্ষ্যা নদীদূষণের অভিযোগে পূর্বাচল পেপার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি ওই কারখানাকে ৪৬ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়। রূপগঞ্জের মিঠাব এলাকায় ৩০০ বর্গফুট নদী দখল ও ভরাট করার অভিযোগে হাশেম পেপার মিলকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভরাটকৃত মাটি অপসারণ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রূপগঞ্জের মিঠাব এলাকায় ইটিপি ও পরিবেশগত ছাড়পত্র ব্যতীত কারখানা পরিচালনার মাধ্যমে শীতলক্ষ্যা নদীদূষণের অভিযোগে অনন্ত পেপার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।