হত্যা মামলায় কুষ্টিয়ায় তিন ও কিশোরগঞ্জে একজনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরÑ
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় গলায় তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেছেন। মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আদালতে দুই আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেনÑ ঝিনাইদহ জেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলে (পলাতক) রবিউল ইসলাম, একই গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে গোলাম সরোয়ার ওরফে সরু এবং কোটচাঁদপুরের ব্রিজঘাট বাদামবাজার এলাকার মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে আনিসুজ্জামান ওরফে আনিছ। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশের ডোবা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় একজনের গলায় তার পেঁচানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ইবি থানার এসআই নজরুল ইসলাম একটি হত্যা মামলা করেন। পরে চার্জশিটে পুলিশ উল্লেখ করে, আসামিরা জামালপুর জেলার বাসিন্দা বাদাম ব্যবসায়ী হবিল ব্যাপারীকে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা মূল্যের বাদাম আত্মসাতের লক্ষ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।
কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় স্ত্রী মর্জিনা হত্যা মামলায় স্বামী ছমিরউদ্দিনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের তৃতীয় আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পাকুন্দিয়া উপজেলার সৈয়দগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত ইজ্জাত আলীর ছেলে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, বিয়ের তিন বছর পর মর্জিনা চাকরির নিয়ে লেবানন যান। সেখান থেকে প্রতি মাসে স্বামীর কাছে নিয়মিত টাকা পাঠাতেন। স্বামী ছমিরউদ্দিন সেই টাকা যথেচ্ছ খরচ করতেন। বিষয়টি টের পেয়ে মর্জিনা টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেন। ২০১৭ সালের ১২ জুলাই মর্জিনা ছুটি নিয়ে বাবারবাড়িতে আসার দুই দিন পর বাবারবাড়ির উঠানে ছমিরউদ্দিন ধারালো ছুরি দিয়ে মর্জিনাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। মর্জিনাকে পাকুন্দিয়া হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।