আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১২-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

ঋণখেলাপিদের স্বেচ্ছায় বয়কটের উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
| অর্থ-বাণিজ্য

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের নামে কোনো ঋণ দেওয়া যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে ফৌজধারী মামলা দায়ের করতে পারবে ব্যাংক। এ ছাড়া স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপিদের বিজনেস ক্লাসে বিদেশ ভ্রমণ, গাড়ি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশন, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু, নতুন কোম্পানি নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এসব বিধান যুক্ত করে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। নতুন আইনের খসড়াটি সোমবার ওয়েবসাইটে দিয়ে ২১ দিনের মধ্যে মতামত চেয়েছে বিভাগটি। খসড়ায় ৫০টিরও বেশি ধারা-উপধারা সংযোজন, পরিমার্জন ও সংযোজন করা হয়েছে। ২১ দিন এ খসড়ার ওপর মতামত সংগ্রহ করে তা চূড়ান্ত করবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
আইনে বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি চিহ্নিত করতে দুটি কমিটি কাজ করবে। আর ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতাদের ছবিসহ নামের তালিকা ব্যাংকগুলো নিজেদের ওয়েবসাইটে ও সংবাদপত্রে প্রকাশ করবে। গেল মাসে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনের খসড়ায় ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইনে তাদের বিদেশ যাত্রার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। শুধু তারা বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ করতে পারবেন না বলে উল্লেখ আছে। খসড়া আইনে ব্যাংক আমানতকারীদের স্বার্থরক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজন মনে করলে কোনো ব্যাংকের ব্যবসা স্থগিত করা, মুনাফা বিতরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে। তারপরও কোনো ব্যাংক দুর্বল হয়ে গেলে কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে কেন্দ্রীয় ওই ব্যাংক অবসায়ন, একীভূতকরণ করতে পারবে।
নতুন সংযোজিত এ সংক্রান্ত ধারায় বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলে কোনো ব্যাংকের ব্যবসা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা, ব্যাংক পুনর্গঠন, অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একত্রীকরণ, ব্যাংকের সম্পদ বিক্রি ও অবসায়ন করতে পারবে। চাইলে কোনো ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিলও করতে পারবে। ব্যাংকের জন্য ক্ষতিকর কোনো পরিচালক অপসারণ করে তার শেয়ার বাজেয়াপ্ত করে বিক্রয় বা হস্তান্তর করতে পারবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সরকার যদি মনে করে যে, কোনো ব্যাংক সঠিকভাবে পরিচালিত হতে ব্যর্থ হচ্ছে এবং তাতে আমানতকারীদের ক্ষতি হতে পারে। তখন সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অধিগ্রহণ করতে পারবে।