আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১২-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

চসিক নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি

বললেন মির্জা ফখরুল

চট্টগ্রাম ব্যুরো
| শেষ পাতা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। 
মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সারা দেশে ৩৫ লাখ বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। যখন যেভাবে পারছে হত্যা করছে, গুম করছে, জুডিসিয়াল কিলিং করছে। কিন্তু এরপরও বিএনপি গণতন্ত্রের অধিকার আদায়  থেকে দূরে সরে যায়নি। তিনি বলেন, পুরো দেশের জনগণ বিএনপির সাপোর্টার। বিএনপি ইজ দ্য পার্টি অব পিপল। যখনই বিএনপিকে ধ্বংস করতে  চেয়েছে বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো আবারও জেগে উঠেছে। কারণ জনগণ বিএনপির সঙ্গে আছে। খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিত মৃত্যুর দিকে সরকার ঠেলে দিচ্ছে দাবি করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। বিছানা থেকে তিনি উঠতে পারেন না, দাঁড়াতেও পারেন না। ডায়াবেটিস বেড়ে গিয়েছে। তাকে সরকার পরিকল্পিতভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তথ্যমন্ত্রী ডা. হাসান মাহমুদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় এ মন্ত্রীর জন্মও হয়নি। অথচ তিনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলেন। বেফাঁস কথা বলেন। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে ফখরুল বলেন, বিএনপির কোনো দল নয়, বিএনপির জনসমর্থন নেই এরকম বলে বেড়ানো মন্ত্রীরা প্রতিদিনই বিএনপির কথা বলেন। আচ্ছা আমরা জনপ্রিয় না হলে, আপনারা প্রতিদিন আমাদের কথা বলেন কেন? নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে তিনি বলেন- সাংবাদিকরা সব সময় বলেন, নির্বাচন নিয়ে এত অভিযোগ, তারপরও আপনারা নির্বাচনে যাচ্ছেন কেন? কারণ বিএনপি (আমরা) গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। এ দেশের মানুষের  ভোটাধিকার হারিয়েছে। আমরা ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে নেমেছি, তাই আমরা বারবার এ ভোট ডাকাতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। প্রত্যেকটা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে যাব। বিএনপিকে হামলা মামলা দিয়ে রাজনীতি করতে দিবেন না, নির্বাচন করতে দিবেন না এটা ভেবে আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির এ মহাসচিব আরও বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ৫ হাজার ভোট পেয়েছে। অথচ জাতীয় পার্টিকে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল বলা হচ্ছে। এটা নিছক হাস্যকর। প্রতিটি সময় প্রতিটি ক্ষণে বিএনপির কথাই সবাই বলেন। তার মানে এটা পরিষ্কার যত সমস্যা বিএনপিকে নিয়েই। 
সভায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম বলেন, রাজপথের সব আন্দোলনে নগর বিএনপির অবদান রয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনের কর্মসূচিতে চট্টগ্রামের জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়বে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের আহ্বান জানাই, আপনারা আন্দোলনের কর্মসূচির  ঘোষণা দেন। চট্টগ্রামের মানুষ প্রস্তুত। এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে আন্দোলনের মাধ্যমে। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়। 
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দিন, বিএনপি  কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীর হেলাল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।