মেথিশাক অনেকেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে। এ শাক খেতেও পারেন আবার চুল বা ত্বকের যতেœ ব্যবহার করতে পারেন। ভেজষ চিকিৎসায় মেথির ব্যবহার অপরিহার্য। এর ঐতিহ্য অনেক পুরোনো। এছাড়া মেথিশাকে রয়েছে সেচুরেটেড ফ্যাট, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেড ও প্রোটিন। শুধু তাই নয়, এ ভেজষ উপাদানটি ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘বি-৬’, ক্যালশিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর। মেথিশাক কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রক্তের লিপিড লেভেলকে ভালো রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এটি কোলেস্টেরলের এলডিএল বা লো ডেলসিল এল লাইকোপেডিল বা এইচডিএলের মধ্যে ভারসাম্যকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতেও সাহায্য করে এ শাক। এটি শরীরের গ্লুকোজ মেটাবলিজমকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া হার্টের সমস্যায় ভীষণ উপকারী মেথিশাক। এ শাক প্লেটলেট বৃদ্ধির গতিকে কমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃৎপি-ে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মতো কোনো বিপজ্জনক ঘটনা থাকে না বললেই চলে। এর ফলে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যায়। এছাড়া এটি হার্ট রেড ও ব্লাডপ্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখে। এছাড়া পেটের সমস্যার ক্ষেত্রে খুবই উপকারী মেথিশাক। লিভারের সমস্যার ক্ষেত্রেও মেথিশাকের ব্যবহার খুবই উপকারী। শুধু তাই নয়, গ্যাসের সমস্যা ও অন্ত্রের অন্যান্য সমস্যার ক্ষেত্রেও এটি বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। সেই সঙ্গে ডায়রিয়া নিরাময়ের ক্ষেত্রেও এটি ভীষণভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এসব কারণে ডায়েট চার্টে অবশ্যই মেথিশাক রাখা উচিত। সূত্র : ওযেবসাইট