নওগাঁয় সিজারের পর রিতু বন্যা নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তিনি নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের রুবেল হোসেনের স্ত্রী। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রসব ব্যথা ওঠায় বুধবার প্রসূতি রিতু বন্যাকে ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই সিজারিয়ান অপারেশনে একটি কন্যাসন্তান প্রসব করায়। এরপর প্রসূতির খিঁচুনি শুরু হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পথে নওগাঁর মান্দা উপজেলার ফেরিঘাটে তার মৃত্যু হয়। তার স্বামী রুবেল হোসেন অভিযোগ করেন, প্রসব ব্যথাকাতর স্ত্রীকে তিনি সুস্থাবস্থায় ক্লিনিকে নিয়ে যান। সিজার করে মেয়ে সন্তান প্রসব হলে প্রসূতির খিঁচুনি শুরু হয়। রোগীর সমস্যা থাকায় খিঁচুনি হচ্ছে বলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে তড়িঘড়ি জোরপূর্বক রাজশাহীতে পাঠায়। পথে আমার স্ত্রী মারা যান। তার যদি সমস্যাই থাকে তাহলে সিজার করা হলো কেন? আসলে ডাক্তারের ভুলের কারণে আমার স্ত্রী মারা গেছেন। যোগাযোগ করা হলে গাইনি চিকিৎসক ডা. মানজুদা খাতুন পপি বলেন, প্রসূতির অবস্থা খুব খারাপ ছিল। প্রসূতি এবং বাচ্চাকে বাঁচানোর জন্য অপারেশন করতে হয়েছে। সিজারের পর খিঁচুনি হওয়ায় প্রসূতিকে রাজশাহীতে রেফার করা হয়।