স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগরীতে গৃহকর পুনর্মূল্যায়নের জন্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উভয় সিটি করপোরেশনে অটোমেশনের মাধ্যমে অনলাইনভিত্তিক গৃহকর পুনর্মূল্যায়নের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ। জবাবে মন্ত্রী ওই দুই সিটি করপোরেশনে সম্প্রতি অন্তর্ভুক্ত এলাকাও গৃহকর মূল্যায়নের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান।
সরকারদলীয় অপর সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকা ওয়াসা ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে সর্বদা বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে আসছে। এক্ষেত্রে ভূ-গর্ভস্থ পানি, অর্থাৎ গভীর নলকূপের পানি ক্লোরিনেশনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ করে লাইনে সরবরাহ করা হয়। আর ভূ-উপরিস্থ, অর্থাৎ পানি শোধনাগারের (নদীর) পানি প্রি-ট্রিটমেন্টসহ কমপক্ষে তিনস্তরে বিশুদ্ধ করে লাইনে সরবরাহ করা হয়। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তাজুল ইসলাম জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ২০০৩ সালে সমগ্র দেশের ২৭১ উপজেলায় প্রায় ৫০ লাখ নলকূপের আর্সেনিক পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১৪ দশমিক ৫ লাখ, অর্থাৎ ২৯ শতাংশ নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক পাওয়া গেছে। দেশের আর্সেনিক ঝুঁকিপূর্ণ ৩১টি জেলার ১১৭টি উপজেলার ১ হাজার ২৯০টি ইউনিয়নে প্রায় ২ লাখ আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির উৎস স্থাপন করা হচ্ছে।