আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১৪-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

পূর্ত মন্ত্রণালয় হারালেন শ ম রেজাউল

মন্ত্রিসভায় তিন রদবদল

নিজস্ব প্রতিবেদক
| প্রথম পাতা

সরকার গঠনের এক বছর এক মাসের মাথায় দ্বিতীয় দফা মন্ত্রিসভায় রদবদল করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এ রদবদলের ফলে কোনো মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী বাদ পড়েননি। বরং নতুন করে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দপ্তর বদল করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশ্রাফ আলী খান খসরুকে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এবং সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬-এর রুল ৩(৪) অনুযায়ী মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করেছেন।
এর আগে গেল মে সরকারের পাঁচ মাসের মাথায় প্রথম দফায় মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হয়। ওই রদবদলেও মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর পুনর্বন্টন করা হয়। শুধু স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এছাড়া ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে একই মন্ত্রণালয়ের অধীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী করা হয়। এ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী করা হয় তাজুল ইসলামকে। একই মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় স্বপন ভট্টাচার্যকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ৬ মাসের মাথায় অর্থাৎ গেল জুনে মন্ত্রিসভায় যুক্ত হয়েছেন ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। তাকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। একই সময় প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রী করা হয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদকে। 
উল্লেখ্য,  ৬ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। সে সময় গঠন করা হয় ৪৬ সদস্যের মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ছয় মন্ত্রণালয় রাখা হয়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২৫৭টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জোটগতভাবে তারা পেয়েছে ২৮৮ আসন। অন্যদিকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও তাদের জোট পেয়েছে মাত্র সাতটি আসন। এ সরকারে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৫ জন মন্ত্রী, ২০ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন।