আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১৪-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

সৌদিতে ৪২ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী!

ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদন

আলোকিত ডেস্ক
| প্রথম পাতা

সৌদি আরবের দাবি, ওই দেশে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী ৪২ হাজার রোহিঙ্গা আছেন? তারা ওই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চায়? তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, সৌদি আরবের এ ধরনের তৎপরতার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। খবর ডয়েচে ভেলের। সংবাদ মাধ্যমে কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের মাঝামাঝি ওই ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়? ১৩ জানুয়ারি আবুধাবিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলনেও সৌদি কতৃপক্ষ বিষয়টি তোলে? ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ কমিশনের বৈঠক আছে ঢাকায়? সেই বৈঠকেও সৌদি আরব রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি তুলতে পারে? পররাষ্ট্র দপ্তর বিষয়টি কীভাবে মোকাবিলা করবে তা নিয়ে কাজ করছে বলে জানা গেছে?
সৌদি আরব জনিয়েছে, এই রোহিঙ্গারা ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে সৌদি আরবে গেছেন? তারা বাংলাদেশি পাসপোর্টে গিয়ে সেখানে কাজও করেছেন? তাদের সবার কাজের অনুমতিপত্র আগেই শেষ হয়ে গেছে? ২০১৬ সালেও সৌদি আরব একবার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলেছিল। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন অবশ্য ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক না হলে কারও বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়ার কথা নয়? যাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট আছে তারা বাংলাদেশি নাগরিক। সৌদি আরব এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গাকে সেখান থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়নি? আর তারা ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চায় বলে কোনো চিঠি দিয়েছে কি না আমার জানা নেই? সংবাদমাধ্যমে অনেক সময় অতিরঞ্জিত খবর ছাপা হয়।’
এই চিঠি যখন দেওয়া হয় তখন পররাষ্ট্র সচিব ছিলেন শহীদুল হক? তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সর্বশেষ কি হয়েছে তা আমি এখন আর বলতে পারব না। কারণ আমি তো আর এখন পররাষ্ট্র সচিব নই।’
সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) শহীদুল হক বলেন, ‘আমি হজে গিয়ে সৌদি আরবে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী রোহিঙ্গা দেখেছি। ১৯৭৮ সালে সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান আড়াই লাখ করে মোট পাঁচ লাখ রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট দিয়েছিল? সৌদি আরব যদি তাদের নিয়ে কথা বলে তাহলে তারা সেটা ঠিক করছে না। তবে এর পরে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেয়ে থাকলে তা তারা বৈধ পথে পায়নি? এটা একটি জটিল পরিস্থিতি। বাংলাদেশের এখন ভেরিফাই করে দেখতে হবে তারা কীভাবে পাসপোর্ট পেল? এর জন্য সৌদি সরকারেরও সহায়তা চাওয়া যায়? আরেকটি বিষয় হলো তারা যেভাবেই পাসপোর্ট পাক তারা তো আর বাংলাদেশের নাগরিক নয়? তাই সৌদি আরবের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে তাদের ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ বাড়িয়ে সেখানেই রাখার ব্যবস্থা করা দরকার?’ বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জেদ্দায় অবস্থান করছেন? তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি? সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।