ভোলার দৌলতখানে অটো থামিয়ে ডেকে নিয়ে একটি ক্লিনিকের কর্মী দুই সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তাকে প্রায় অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ বলেছে, ধর্ষকের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করতে পারলেও এখনও কাউকে আটক করা যায়নি। ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাত ১০টার দিকে ভোলার দৌলতখানের হালিমা খাতুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায়।
৩৫ বছর বয়সি বিধবা ওই নারী ভোলা শহরের একাটি বেসরকারি ক্লিনিকে চাকরি করেন। ৪ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্বামী মারা যান। ক্লিনিকে চাকরি করেই তিনি সন্তানদের নিয়ে সংসার চালান। প্রতিদিনের মতো ক্লিনিকের কাজ শেষ করে রাতে একটি অটোযোগে ভোলার দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত প্রায় ১০টার সময় দৌলতখানের হালিমা খাতুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে চার যুবক ওই অটোরিকশাটি থামায়। তারা ওই নারীর সঙ্গে কথা আছে বলে তাকে ডেকে কলেজের ভেতরে নিয়ে যায়। প্রায় আধাঘণ্টা পর ওই নারীর চিৎকার শুনে অটোচালকসহ স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু ধর্ষকরা এর আগেই পালিয়ে যায়। নির্যাতনের শিকার হওয়া ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়। রাত ১২টার পর হাসপাতালে ওই নারীর জ্ঞান ফিরে। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং ধর্ষণকারীদের শাস্তি দাবি করেন। দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সাদেকুর রহমান জানান, তারা এরই মধে দুই যুবককে শনাক্ত করতে পেরেছেন। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। প্রসঙ্গত, এ ঘটনার এক সপ্তাহ আগে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতীকে কুকরী-মুকরীর বনে ও ট্রলারে রাতভর পাঁচ যুবক গণধর্ষণ করে। ভোলায় গেল দেড় মাসে একের পর এক শিশু থেকে শুরু করে যুবতী, গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সচেনতন মহল। তাই আর যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেজন্য এলাকাবাসী দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।