বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই আমরা এখন স্বনির্ভর। তৈরি পোশাক শিল্পে আমরা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছি। অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। শিল্পের জন্য ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। এ সেক্টরের অনেক যন্ত্রপাতি এখনও আমরা আমদানি করছি। আমাদের সুযোগ ও দক্ষতা আছে এ ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি করার। ফায়ার ফাইটিং যন্ত্রপাতি দেশেই তৈরি করতে হবে। নিজেরাই এ যন্ত্রপাতি তৈরি করলে আমাদের আর আমদানিনির্ভর থাকতে হবে না, একই সঙ্গে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েমন অব বাংলাদেশ (ইএসএসএবি) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী সপ্তম ইন্টারন্যাশনাল সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পে দেশে অভাবনীয় সফলতা এসেছে। রপ্তানির সিংহ ভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। বিশ্বর সেরা ১০টি গ্রিন ফ্যাক্টরির মধ্যে বাংলাদেরই সাতটি। এগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইলেক্ট্রনিক সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি একান্ত প্রয়োজন। একসময় এগুলোর ডিজাইন বিদেশ থেকে এক্সপার্ট নিয়ে এসে বিপুল অর্থ ব্যয় করে করতে হতো। এখন দেশের এক্সপার্টরাই তা করছেন। আমাদের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৫২ সালে যারা জীবন দিয়ে আমাদের মায়ের ভাষা রক্ষা করেছেন, এরই পথ ধরে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তারা চায়নি সোনার বাংলা হোক। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জয়বাংলা সেøাগান বদল করে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ করেছিল, বাংলাদেশ বেতারের নাম বদল করে রেডিও বাংলাদেশ করেছিল। এতেই তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে যায়। ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু আজ নেই, আমরা তার উদ্দেশ্য ও আদর্শ বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, এবারের এক্সপোতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মান, ইতালি, তাইওয়ান, তুরস্কসহ ২৫টি দেশের ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য ৭৫টি স্টলে প্রদর্শিত হচ্ছে। রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে কোনো ফি ছাড়াই এক্সপোতে প্রবেশ করা যাবে। এক্সপো চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ইলেক্ট্রনিক সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মো. মোতাহার হোসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম জুলফিকার রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনতাকিম আশরাফ, বিজিএমইএ’র প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহা. আবদুস সালাম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহা. মাহমুদ এবং এক্সপোর আহ্বায়ক জাকির উদ্দিন আহমেদ।