আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১৬-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

কালি ও কলম বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন

গাজী মুনছুর আজিজ
| নিত্যজীবন

বক্তব্য রাখছেন কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত

সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতিবিষয়ক মাসিক পত্রিকা কালি ও কলম বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বৃহৎ কলেবরের সংখ্যা প্রকাশ করেছে। এ সংখ্যাটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে লালমাটিয়ার বেঙ্গল বইয়ে। ৯ ফেব্রুয়ারি বিকালে এ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা  হোসেন। বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ  ঘোষ, কবি ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন এবং কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সৈয়দ শামসুল হকের একটি অগ্রন্থিত কবিতা পাঠ করেন হাসান আরিফ। 
কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত বলেন, ৩১টি প্রবন্ধ ও একগুচ্ছ কবিতায় বঙ্গবন্ধুর বহুমুখী রাজনৈতিক কর্মধারা, বাঙালিত্বের সাধনা, অসাম্প্রদায়িক বোধ প্রসারে অঙ্গীকার, শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন, মানবিকতা ও নবগঠিত রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের কল্যাণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণের জন্য যে দিকনির্দেশনা তিনি দিয়েছেন তা উঠে এসেছে। কবি ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন বলেন, আমরা এ দেশের জন্য কিছু করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে। তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই জনগণের নেতা, সব বাঙালির প্রাণের নেতা। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, এ সংখ্যাটি বাংলা সাহিত্যে একটি মূল্যবান সংযোজন। বঙ্গবন্ধু একজন সংস্কৃতিমনা মানুষ ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত অনেক পছন্দ করতেন। এমনকি ১০ জানুয়ারির ভাষণ শুরু হয়েছিল রবীন্দ্রসংগীত দিয়ে। কালি ও কলমের এ সংখ্যাটিকে বই হিসেবে বের করার আহ্বান জানাই। 
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন আজও অভিভূত করে। সমাজের সব স্তরের মানুষকে প্রভাবিত করার এক সহজাত ক্ষমতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছিল। কিন্তু তিনি কখনও বিভেদ করতেন না। ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সব বাঙালিকে তিনি ভালোবাসতেন।