মালির ওগাসোগু গ্রামে হামলা ও লুটপাট-পরবর্তী দৃশ্য ষ রয়টার্স
আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ মালিতে ৯ সেনাসহ ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। জাতিগোষ্ঠীর মধ্যকার দ্বন্দ্বে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষ শুক্রবার জানিয়েছে, এ অঞ্চলে বেশিরভাগ হামলার ঘটনা ঘটছে জাতিগত সহিংসতার কারণে। সরকার বলেছে, নিহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ফুলানি সম্প্রদায়প্রধান ওগাসোগু গ্রামে রাতের বেলা এক হামলায় ৩১ জন মারা যান। সেখানে ২০১৯ সালের মার্চে এক হামলায় ১৬০ জন নিহত হন। ওই হামলার জন্য ডগোন মিলিশিয়াদের দায়ী করা হয়।গ্রামপ্রধান আলি ওসমানী বারি বলেন, প্রায় ৩০ বন্দুকধারী এ হামলা চালিয়েছে। হামলার পর তারা ঘরে এবং শস্যে আগুন ধরিয়ে দেয়, গবাদিপশু পুড়িয়ে দেয় আবার লুটপাট করেও নিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা এর আগে বলেন, ২৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি দাবি করেন, হামলাকারীরা ডগোন নৃগোষ্ঠীর। তবে নিরপেক্ষ সূত্র থেকে কে এ হামলা চালিয়েছে, তা যাচাই করা হয়নি। ওগাসোগুর কাছে মালির সামরিক বাহিনীর একটি অস্থায়ী ঘাঁটি ছিল; সেখান থেকে সেনাদের সরে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এ হামলা হয়েছে বলে গুইন্দো এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক কর্মকর্তা জানান। মালির সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, হামলা ঠেকাতেই সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছিল। সেনারা ঘাঁটিটি থেকে সরে গিয়েছিলেন কি না, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতিও জানিয়েছেন তিনি।