হাইতির রাজধানী পোর্ট-অঁ-প্রিন্সের দক্ষিণে একটি এতিমখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় কীভাবে ওই এতিমখানায় আগুন লেগেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোমবাতি থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে স্থানীয় গণমাধ্যগুলোর প্রতিবেদনে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। এতিমখানার জেনারেটর নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এর কর্মী ও শিশুরা ওই মোমবাতি ব্যবহার করেছিল বলেও জানিয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি গির্জা ওই এতিমখানা পরিচালনা করছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এতিমখানার নিবন্ধন ছিল না। হাইতিতে এমন আরও কয়েকশ’ এতিমখানা আছে বলেও বিবিসি জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ এখন অগ্নিকাণ্ড থেকে বেঁচে যাওয়া এতিমখানার অন্য শিশুদের সহযোগিতা ও পুনর্বাসনে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন হাইতির সমাজকল্যাণ বিষয়ক ইনস্টিটিউটের পরিচালক আরিয়েলে জেয়েন্তি ভিলেদ্রু। তিনি বলেন, আমরা তাদের অন্তর্বর্তীকালীন একটি কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছি। তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে কি না, তা আমরা তাদের পরিবারের অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেব।
অগ্নিকাণ্ডের সময় পেনসিলভানিয়াভিত্তিক চার্চ অব বাইবেল আন্ডারস্ট্যান্ডিং পরিচালিত অনিবন্ধিত ওই এতিমখানায় ৬০ জনের মতো শিশু ছিল। আগুনে ঘটনাস্থলেই দুই শিশুর মৃত্যু হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন; বাকিরা হাসপাতালে মারা যায়। ২০১৩ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকেই এটি নিবন্ধিনবিহীন অবস্থায় চলছে বলে স্থানীয় এক বিচারক রেমন্ড জঁ অ্যান্টন অন্য একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন। তিনি বলেন, এর ন্যূনতম মানও ছিল না। সেখানে থাকার পরিবেশ খুব, খুবই অবমাননাকর। আমরা দেখেছি, শিশুরা সেখানে পশুর মতো থাকত; এমনকি আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার এক্সটিঙ্গুইশারও ছিল না সেখানে।