সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেছেন, দেশে সুশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে জনগণকে সোচ্চার করে তুলতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন ফেরাতে যত বেশি প্রয়োজন, আন্দোলন চালাতে হবে। শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমার একটি মিলনায়তনে আয়োজিত সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সপ্তম জাতীয় সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা বদলের একমাত্র উপায় হচ্ছে নির্বাচন। গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার এটিই মূল ভিত্তি। অথচ দেশে নির্বাচনিব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। মানুষ নির্বাচন থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশের সামনে ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সবাই মিলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু হেনা বলেন, নানা দিক থেকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে, এটা উৎসাহব্যঞ্জক। একই সঙ্গে গণতন্ত্র ও সুশাসন নিয়ে উদ্বেগ আছে। নির্বাচনি ব্যবস্থায় অনেক সংস্কার করেও লক্ষ্য অর্জন করা যায়নি। সংস্কারের যথাযথ বাস্তবায়ন ও সমভাবে আইনের প্রয়োগ না হলে সংস্কার করে কিছু হবে না। নির্বাচন ও দুর্নীতি দুটি বিষয় নিয়েই কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮১ শতাংশ আর ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে পড়েছে ৩০ শতাংশের কম। অথচ আমরা জানি, স্থানীয় নির্বাচনে ভোটের হার বেশি হয়। নির্বাচন কমিশন চাইলেই ভোট জালিয়াতি বের করতে পারে। ২০ দফা সংস্কার প্রস্তাবের পরিবর্তে একদফা দাবি তোলা দরকার, আর তা হলো সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।