পাথর উত্তোলন বন্ধের পর এবার সিলেটের ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারিতে খাস কালেকশন (তাৎক্ষণিক খাজনা আদায়) বন্ধের নির্দেশনা নিয়েছে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)। ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. জাফর উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক পত্রে ইজারাবিহীন ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারিতে পাথর উত্তোলন ও খাস কালেকশনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। স্মারকের কপি এরই মধ্যে সিলেট জেলা প্রশাসকের কাছে এসে পৌঁছেছে। জেলা প্রশাসক এ সংক্রান্ত নির্দেশনা এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করেছেন বলে কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও সুমন আচার্য জানান।
স্মারকের আদেশে বলা হয়Ñ ‘খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এর আলোকে খনিজ সম্পদ বিধিমালা-২০১২ গেল ৩.১২.২০১২ তারিখ জারি ও গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। ওই বিধিমালা জারি হওয়ায় সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির খাস আদায়-সংক্রান্ত বিএমডির ১৫.৩.২০১২ তারিখের নং-খসউব্যু/ইঃ-সাঃপাঃ/৩৫/০২(খ--২)/৭২৩ স্মারক পত্রের কার্যকারিতা থাকে না। এছাড়া সূত্রস্থ স্মারকের পত্রে সিলেট জেলার সব পাথর কোয়ারি (ইজারাকৃত পাথর কোয়ারি ব্যতীত) থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধে করণীয় বিষয়ে সরকারের সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এ নির্দেশনা অনুয়ায়ী, সব পাথর কোয়ারি (ইজারা ব্যতীত) থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলো।’
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও সুমন আচার্য জানান, বিধিবহির্ভূতভাবে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের ফলে ভোলাগঞ্জে পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও খাস কালেকশন চালু থাকায় বন্ধ হচ্ছিল না পাথর উত্তোলন। এ অবস্থায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোতে খাস কালেকশন বন্ধের জন্য আবেদন জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে বিএমডি। তিনি বলেন, এ নির্দেশনা পেয়ে খাস কালেকশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।