মুজিববর্ষে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ রাঙ্গুনিয়া বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে সমিতির রাঙ্গুনিয়া-২ (লিচুবাগান) উপকেন্দ্রের ৭১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট একটি ফিডারের (৫ নম্বর ফিডারে) শতভাগ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। যা স্বাভাবিক পর্যায়ে করতে গেলে ১ মাসের উপরে সময় লেগে যেত। সকালে চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার মোল্লা আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোখলেছুর রহমানের সহযোগিতায় রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গুনিয়া পল্লী বিদ্যুতের এলাকা পরিচালক শিবু চন্দ, আজাদী বাজার জোনাল অফিসের ডিজিএম সরওয়ার জাহান, ডিজিএম (কারিগরি) শাহ আলম, রাঙ্গুনিয়া জোনাল অফিসের এজিএম (ওঅ্যান্ডএম) জুয়েল দাশ চৌধুরী প্রমুখ।
রাঙ্গুনিয়া জোনাল অফিসের এজিএম (ওঅ্যান্ডএম) জুয়েল দাশ চৌধুরী বলেন, সকাল থেকে দিনভর এ রক্ষণাবেক্ষণ কাজে কর্মকর্তা ও সুপারভাইজার ৩০ জন প্রকৌশলী, ৫০ জন লাইনম্যান ও ৩২ জন দক্ষ শ্রমিক অংশ নেন। এর ফলে আসন্ন বর্ষায় ঝড়-বৃষ্টিতে এবং দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ শতাংশের কমে আসবে। এতে যে কোনো দুর্যোগের পর বিদ্যুৎ দ্রুত চালু করা সম্ভব হবে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি ও তার পরিবর্তন, বর্তমান খুঁটির কাছাকাছিতে বিকল্প খুঁটি স্থাপনের কারণে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ঝুঁকিমুক্ত করা হয়েছে।
ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোখলেছুর রহমান বলেন, ১০০ জন কর্মী ১৫টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে রাঙ্গুনিয়ার ৭১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট একটি ফিডারের এ রক্ষণাবেক্ষণ কাজের ফলে লিচুবাগান, দোভাষী বাজার, বনগ্রাম, ইকোপার্ক, জুমপাড়াসহ বৃহত্তর চন্দ্রঘোনা এলাকার গ্রাহকরা উপকৃত হবেন। জেনারেল ম্যানেজার মোল্লা আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাঙ্গুনিয়ায় সিস্টেম লস ৭ এর নিচে। একদিনেই সমিতির সব কর্মীরা একযোগে এ কাজ করে থাকে। যেটি স্বাভাবিকভাবে করতে এক মাসের উপরে সময় লেগে যেত।